ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পন্ন করা সামিহা জামানের শৈশব-কৈশোর কেটেছে দেশের বাইরে। বাবা মারুফ জামান ছিলেন কুয়েত ও কাতারের রাষ্ট্রদূত। বাবার সঙ্গে বিদেশে থেকেছেন তিনি। তাই দেশের হালহকিকত কম জানেন।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ
‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের পরিবারে বিপর্যয়
- আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস
এম বদি-উজ-জামান ও এস এম আজাদ

গত ১০ অক্টোবর মতিঝিল এলাকা থেকে নিখোঁজ হন একটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক উৎপল দাস। তাঁর সন্ধান দাবিতে সাংবাদিকরা কর্মসূচি পালন করছেন। উৎপলের পরিবার হন্যে হয়ে ঘুরছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে। বাবা চিত্তরঞ্জন দাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুলিশ ও র্যাব আশার কথা বললেও কোনো ফল পাচ্ছি না।
সম্প্রতি একটি হত্যাকাণ্ডের পর তাতে জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযদ্ধে’। গত ১৪ নভেম্বর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে খুন হন জনশক্তি ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী। ৫ ডিসেম্বর হেলাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত বলে দুজনের নাম প্রকাশ করে। দুদিন পর বাড্ডায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ওই দুজন। তারা হলো আল-আমিন ও সাদ্দাম হোসেন। তাদের পরিবার জোর গলায় দাবি করছে, নিহতরা হত্যায় জড়িত না। তাদের আগেই আটক করে বন্দুকযুদ্ধের করা বলা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছর ১০ মাসে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ও সাংবাদিক উৎপলের মতো নিখোঁজ হয়েছে ৫৪৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৯৫ জনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের ১০ মাসেই নিখোঁজ হয়েছে ৫০ জন, যাদের ৩৮ জনের খোঁজ মেলেনি। লাশ পাওয়া গেছে দুজনের। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনায় আবার নিখোঁজ বা গুম উৎকণ্ঠা বেড়েছে। অন্যদিকে গত ১০ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১৩৯ জন। চার বছরে এভাবে নিহত হয়েছে ৬৫৪ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলো আছে মানবিক বিপর্যয়ে। কোথাও পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনরা চরম অর্থকষ্টে আছে। স্বজনদের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকে। অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা কুরে কুরে খাচ্ছে স্বজনদের। অন্যদিকে বিচার না পাওয়ার চাপা কষ্ঠ বয়ে বেড়াচ্ছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা।
এমন পরিস্থিতিতে ৬৯তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে আজ ১০ ডিসেম্বর। দেশের মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, একের পর এক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধারের ঘটনাই দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় খারাপ দিক। ঘটছে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এসব ঘটনার সুরাহা না হওয়া চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় মানবাধিকার ও অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিটি ঘটনা তদন্তের সুপারিশ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত এক বছরে দেশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের কিছু ঘটনার বিচার দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। তবে সাম্প্রতিক কিছু নিখোঁজ ও অপহরণের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে সেসব বিষয় রাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, রাষ্ট্র জনগণের উদ্বেগ ও আতঙ্ক দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকে উত্তপ্ত করে দিয়েছেন। সব মুসিলম দেশে এর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।’
এই আইনজীবী বলেন, দেশে খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে কোনো কোনোটির বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থেকে কিছুদিন পর বেরিয়ে আসছে। কারো মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। কারো আবার দিনের পর দিন খোঁজ নেই।
জানা গেছে, ১৯৪৮ সাল থেকে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো—‘সমতা, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা।’ বিশ্বের অপরাপর দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচি দিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সকাল সাড়ে ৮টায় খামারবাড়িসংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে। এরপর সকাল ১০টায় সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। কাজী রিয়াজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, এ বছরের ১০ মাসে (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) নিখোঁজ হয়েছে ৫০ জন। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তিনজনকে। ফেরত এসেছে সাতজন। বাকি ৩৮ জন এখনো নিখোঁজ। ২০১৬ সালে ৯৭ জন নিখোঁজ হওয়ার পর ১১ জনের লাশ পাওয়া যায়। ২৬ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর তিনজন ফিরে এলেও নিখোঁজ রহস্য উন্মোচিত হয়নি। বাকি ৫৭ জন এখনো নিখোঁজ। সংস্থাটির তথ্যমতে, ২০১৫ সালে নিখোঁজ হন ৫৫ জন, যাঁদের মধ্যে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ফিরে আসেন পাঁচজন। এখনো নিখোঁজ আছেন ৩৫ জন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন ১০২ জন, যাঁদের ৮৮ জনই নিখোঁজ আছেন। ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া ৫৮ জনের মধ্যে ৫৩ জনেরই খোঁজ মেলেনি। ২০১২ সালে নিখোঁজ ৫৬ জনের মধ্যে ৩৪ জন; ২০১১ সালের ৫৯ জনের ৩৯ জন এবং ২০১০ সালে ৪৬ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ২১ জন নিখোঁজ হন, যাঁদের ১৮ জনের খোঁজ মেলেনি। এই হিসাবে ১০ বছর ১০ মাসে ৫৪৪ জন নিখোঁজ হন, যাঁদের মধ্যে ৩৯৫ জনই গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির দাবি, ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তাদের দলের ২০২ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।
আসকের হিসাব মতে, এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে ১৩৯ জন। গত বছর এভাবে মারা গেছে ১৯৫ জন, ২০১৫ সালে ১৯২ জন এবং ২০১৪ সালে ১২৮ জন। তিন বছর ১০ মাসে মোট মারা গেছে ৫১৫ জন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে ৫২ জন গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৮৭ জন। হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৮৫৫টি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩০৬টি।
গত চার মাসে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কেউ কেউ ফিরে আসেন। তবে এখনো হদিস নেই আটজনের। তাঁদের একজন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। গত ৭ নভেম্বর থেকে তাঁর খোঁজ নেই। গত ২৭ আগস্ট ধানমণ্ডি থেকে নিখোঁজ হন কানাডার মন্ট্রিয়লের ম্যাগসাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ। ছেলের চিন্তায় তাঁর মা-বাবাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাবা জামাল উদ্দীন কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্তানকে ফিরে পেতে আশায় বুক বেঁধে আছেন তাঁরা। গত ২৬ আগস্ট পল্টন থেকে নিখোঁজ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানকে এখনো পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক উৎপল দাস নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, উৎপলের খোঁজ না মেলায় তাঁর মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
গত শুক্রবার বাড্ডায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সাদ্দামের বাবা হাসমত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত ২৪ নভেম্বর সাদ্দামকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর মেরে ফেলে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তাও জানলাম না আমরা।’
ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায়ই ঘটছে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার মতো ঘটনা। গত এক বছরে জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত দেড় শতাধিক ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নাটোর পৌর যুবলীগের তিন নেতাকর্মীর লাশ একসঙ্গে উদ্ধার করা হয় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে। নাটোরের ঘটনার দুই দিন আগে তাঁরা নিখোঁজ হয়েছিলেন।
২০১০ সালের ২৪ মার্চ মানিক মিয়া এভিনিউয়ের টিঅ্যান্ডটি মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী সুজনকে এখনো পাওয়া যায়নি।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানী থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের। ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাসহ নেতাকর্মীরা কথা বললেও দরিদ্র আনসার আলীর পরিবারটি আছে আড়ালে। তার আত্মীয় সোহরাব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আনসারের সংসার চলছে এখন মানুষের সাহায্য-সহায়তায়।
পাঁচ বছর আগের কিছু ঘটনা বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এক মাসে রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১৯ জন। তাদের কেউই পরে আর ফেরেনি। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে তাদের স্বজনরা। এখনো প্রিয়জনের পথ চেয়ে বসে আছে তারা। নিখোঁজ মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাসেলের বাবা আমিনুল হক বলেন, ‘আমার ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করে। এমন একটা ছেলেকে কেন আর পাওয়া যাবে না? রাষ্ট্র, প্রশাসন আমার এ প্রশ্নের জবাব দিল না! আমাদের প্রতিটা দিন কত কষ্টে যাচ্ছে, কেউ খোঁজ নেয় না।’
বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকে ২০১০ সালের ২৫ জুন ফার্মগেট থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাত বছরেও তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। তাঁর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরী বলেন, ‘সিআইডি পুলিশ অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তাকে (আলম) তুলে নেওয়া হয়নি। তাহলে কোথায়? আমরা কার কাছে বিচার চাইব?’ একইভাবে ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন মফিজ উদ্দিন। তাঁর বন্ধু খলিলুর রহমান বলেন, পানামা কম্পানিতে কাজ করতেন মফিজ। তিন ছেলে নিয়ে তাঁর স্ত্রী অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন।
সম্পর্কিত খবর

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে
বিশেষ প্রতিনিধি

প্রায় দুই দশক পর জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামীকাল শনিবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ হবে। বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলটির নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জামায়াত।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক সংস্কার জরুরি। কোনো ষড়যন্ত্র যেন এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। অংশ নেবেন ইসলামী দলগুলোর নেতারা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে আমাদের দল নানা নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকার কিছুটা ফিরে এসেছে।
তিনি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি চান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। দলটির পক্ষ থেকে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
জুলাই মাসে নিহত ও আহতদের পুনর্বাসন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি বলেও দাবি করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।
তিনি জানান, সমাবেশ সফল করতে একটি বাস্তবায়ন কমিটিসহ আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ মাইক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সমাবেশে থাকবে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঢাকার আশপাশ থেকে আগতদের জন্য ১৫টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
সমাবেশস্থলের ভেতরে ও বাইরে ১৫টি মেডিক্যাল বুথ থাকবে, প্রতিটিতে থাকবেন দুজন করে চিকিৎসক, জরুরি ওষুধ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকবে।
ড্রোন ও ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ ও সরাসরি সম্প্র্রচারেরও আয়োজন থাকবে—এলইডি স্ক্রিন ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবেও সম্প্রচার করা হবে।
সমাবেশের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান গোলাম পরওয়ার।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, ‘সারা দেশ থেকে মানুষ রেল, সড়ক ও নৌপথে সমাবেশে অংশ নিতে আসবে। এতে নগরবাসীর কিছুটা দুর্ভোগ হতে পারে। আমরা তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ তিনি জানান, সমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। তবে সকাল ১০টা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলবে।
এ সময় গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনারও নিন্দা জানান গোলাম পরওয়ার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সাত দফা দাবিও তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; সব গণহত্যার বিচার; মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার; ‘জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন; ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের পুনর্বাসন; পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য নাগরিকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহম্মদ বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, অর্থাৎ যাঁদের বয়স ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৮ বছর হয়, তাঁরা পরবর্তী জানুয়ারি মাসের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। নির্বাচন কমিশন প্রতিবছরের ২ জানুয়ারি ওই খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেসব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হয়, অর্থাৎ ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য হন, তাঁরা ওই নির্বাচনে ভোটাধিকারের সুযোগ পান না।
ফয়েজ আহম্মদ আরো বলেন, এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাঁদের ভোটার তালিকায় নিয়ে আসাকে যৌক্তিক মনে করে। এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরুন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তার সর্বোচ্চ দুই মাস আগে তফসিল ঘোষিত হয়।
ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘আজ যে অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন করা হলো, এর ফলে যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার অন্তত এক মাস আগ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হবে, তাঁরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।’
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ : গতকাল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অনেকের কিডনি ড্যামেজ হয়, অনেকে চোখে দেখতে পায় না, কর্নিয়া সংযোজন হলে অন্ধত্ব দূর করা যায়, এসব বিষয়ে বাংলাদেশের যে আইন ছিল সেটা অনেক দিন থেকে আপডেট হয়নি।
তিনি বলেন, নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনটা খুব সহজ হবে। আগে যেমন ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য খুবই কাছের যেমন—ভাই, বোন, মা-বাবা থেকে নিতে পারতেন, এখন এটাকে একটু সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
অঙ্গ দান করার ক্ষেত্রে নতুন করে কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আগে যেমন ভাতিজা, ভাগিনা তারা অঙ্গ দান করতে পারত না। এখন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, মানে পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘এর ফলে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের অনেককেই এখন কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য আর বিদেশে যাওয়া লাগবে না। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোও এই সার্ভিস দিতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী আইন।’
একই সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে এত পরিমাণ যে হবে সে তথ্য হয়তো ছিল না
নিজস্ব প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গোপালগঞ্জে গত বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য ছিল কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তবে এত পরিমাণ যে হবে, ওই তথ্য হয়তো ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (বুধবার) এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এনসিপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে এ বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত সব অপরাধী ধরা না পড়বে, তত দিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপদেষ্টা এ সময় গোপালগঞ্জের ঘটনা লাইভ করায় সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলগুলোকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গোপালগঞ্জের ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের শারীরিক অবস্থা দেখতে যান।

আ. লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার সব নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।
তিনি বলেন, নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে এবং আগের নীতিমালা বাতিল হয়েছে। তাই আগের নীতিমালার অধীন নিবন্ধিত সব পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে।
২০২৩ সালে দুই দফায় ৯৬ সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এসব সংস্থার বেশির ভাগই ছিল নতুন। আগে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা ছিল না।
একাধিক সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। সে সময় বেশ কিছু অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পেতে উৎসাহ বোধ করেনি বা আবেদন করলেও নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা আনতে আগের সব পর্যবেক্ষক সংস্থাকেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল সেই নতুন নীতিমালা-২০২৫ জারি ও ২০২৩ সালের নীতিমালা বাতিল করা হয়েছে। ফলে আগের নীতিমালা অনুসারে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে।