<p>দেশের কাগজশিল্পকে রক্ষার জন্য আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমএ)।</p> <p>গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে এ আলোচনাসভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যন মো. নজিবুর রহমান। বিপিএমএর প্রতিনিধিত্ব করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিপিএমএর কার্যনির্বাহী সদস্য আজমুল হোসেন এবং এনবিআর কর্মকর্তারা।</p> <p>বিপিএমএর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কাগজশিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতে ছোট-বড় ৮০টি মিল রয়েছে। বছরে দেশের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ টন। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে বছরে প্রায় ১২ লাখ টন কাগজ উৎপাদন হয়। অফসেট, নিউজপ্রিন্ট, লেখার ও ছাপার কাগজ, সিগারেট ও বিড়ির কাগজ, প্যাকেজিং পেপার, ডুপলেক্স বোর্ড, মিডিয়া পেপার, লাইনার, স্টিকার পেপার ও বিভিন্ন গ্রেডের টিস্যু পেপার উৎপাদিত হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩০টির বেশি দেশে রপ্তানি হয়। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ লোক নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে, যা এ দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। কিছু অসাধু আমদানিকারক এ খাতে বিপর্যয় ডেকে আনছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।</p> <p>বলা হয়, বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করে ডুপলেক্স বোর্ড ও মিডিয়া পেপার, হার্ড টিস্যু ও অন্যান্য পণ্য আমদানির এ খাতে সমস্যা সৃষ্টি করছে। কাগজের চোরাই আমদানিও বড় সমস্যা। এতে অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে কাগজশিল্প। বিশাল বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।</p> <p>দেশের কাগজশিল্প রক্ষার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের প্রস্তাবে অত্যাবশ্যক কেমিক্যালস আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফ করার দাবি জানানো হয়।</p> <p>শিক্ষা-উপকরণ হিসেবে এক্সারসাইজ বুক বা স্পাইরাল নোট বুক বা খাতাকে ভ্যাটের আওতামুক্ত করার প্রস্তাবও করা হয়। ভ্যাটের কারণে এগুলোর দাম বেশি পড়ে। সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষাব্যয়ের কথা ভেবে এ ব্যবস্থা করা উচিত বলে প্রস্তাবে বলা হয়।</p>