<div> অনেক বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্ল্যানডেল শহরে গেছি। লস অ্যাঞ্জেলেসের পাশে ছোট্ট শহর। আমেরিকার অনেক শহরের মতোই ছবির মতো গ্ল্যানডেল। আমার ছোট বোন থাকত গ্ল্যানডেলে। শহরে ঢোকার মুখে সাত-আট তলা সুন্দর একটা বিল্ডিং। বিল্ডিংয়ের কাচের দেয়ালে পশ্চিম থেকে এসে পড়েছে শেষ বিকেলের রোদ। বোনের বর বলল, এটা একটা বইয়ের দোকান। পরদিন সে আমাকে ওই দোকানে নিয়ে গেল। সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে একেকটা ফ্লোরে যাই আর মুগ্ধ হই, বিস্মিত হই। চারদিকে শুধু বই আর বই। বইয়ের এক মনোমুগ্ধকর পৃথিবী। নিঃশব্দে বইয়ের তাক থেকে বই নিয়ে দেখছেন পাঠক-ক্রেতা। কাউন্টারে গিয়ে বিল দিচ্ছেন। প্রতিটি ফ্লোরে আছে কফি কর্নার। চা-কফি-স্ন্যাকস খেতে খেতে বই পড়ছেন পাঠক। যেকোনো বই নিয়ে ওখানে বসে পড়ার ব্যবস্থাও আছে। যতক্ষণ ইচ্ছা পড়ে বই ফেরত দিয়ে এলেই হবে, সমস্যা নেই। ইচ্ছা হলে কিনবেন না হলে কিনবেন না।</div> <div> দিনের অর্ধেকটা সময় আমি সেই দোকানে কাটিয়েছিলাম। বইয়ের গন্ধে নেশা ধরে গিয়েছিল। একেকটা ফ্লোরে যাই, বই দেখি আর শুধু ভাবি, কবে আমাদের দেশে এ রকম একটা বইয়ের দোকান হবে? ও রকম এক বইয়ের দোকানের স্বপ্ন দেখতাম।</div> <div> সেই স্বপ্ন পূরণ হলো এবার চট্টগ্রামে গিয়ে। চট্টগ্রামে ‘বাতিঘর’ হয়েছে। এক বিস্ময়কর বইয়ের দোকান। আমার স্বপ্নের মতো বইয়ের এক আশ্চর্য পৃথিবী। যে তরুণ তাঁর সম্পূর্ণ মেধা-মনন এবং শ্রম দিয়ে এই পৃথিবী গড়ে তুলেছেন তাঁর নাম দিপঙ্কর দাস।</div> <div> দিপঙ্করকে চিনি অনেক দিন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের সান্নিধ্যে বড় হওয়া, স্যারের আদর্শে বেড়ে ওঠা। স্যারকে দিয়েই ‘বাতিঘর’ উদ্বোধন করিয়েছিলেন। তার পর থেকে কত শ্রদ্ধেয়জন, কত বড় বড় লেখক-শিল্পী গিয়েছেন বাতিঘরে। লেখক-পাঠক মুখোমুখি করিয়েছেন দিপঙ্কর। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কাইয়ুম চৌধুরী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, ভারতীয় ইংরেজি ভাষার লেখক বিক্রম শেঠ। সমরেশদা ঢাকায় ফিরে আমাকে বলেছিলেন, বাতিঘর দেখে এসো। না দেখলে বুঝবে না কী কাণ্ড ঘটিয়েছে দিপঙ্কর। ইন্ডিয়াতেও এ রকম বইয়ের দোকান নেই।</div> <div> এবার বাতিঘর দেখে মনে হলো, বাতিঘর সত্যিকার অর্থেই বাতিঘর। এই ঘরের আলোয় পথ চিনবে বইপ্রেমী মানুষ, প্রিয় পাঠক।</div> <div> চট্টগ্রামে গেলাম পাঁচ বছর পর। এই পাঁচ বছরে অনেক বদলেছে চট্টগ্রাম, অনেক স্মার্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম আমার প্রিয় শহর। পাহাড় সমুদ্র গাছপালা ঘেরা চট্টগ্রাম সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। এবার সেই মুগ্ধতা বাড়ল কিছু প্রতিষ্ঠান দেখে, কিছু মেধাবী বড় মানুষ দেখে। তাঁদের কেউ কেউ আমার পূর্বপরিচিত।</div> <div> এয়ারপোর্ট থেকেই চলে গিয়েছিলাম আবুল খায়ের গ্রুপের অফিসে। আমাদের প্রিয় নওশাদ চৌধুরী, তাঁকে আমরা চিনি নওশাদ করিম নামে, তিনি এই গ্রুপের ডিরেক্টর ব্র্যান্ড মার্কেটিং। হুমায়ূন আহমেদ খুব ভালোবাসতেন নওশাদকে। হুমায়ূন ভাইয়ের ফ্ল্যাটে, তাঁর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নওশাদ থাকতেন। একসঙ্গে বহু সন্ধ্যা কাটিয়েছি আমরা। কত সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার দিন কাটিয়েছি। নওশাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে হুমায়ূন ভাইয়ের কথা উঠল। আমরা বিষণ্ন হলাম। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে চলে গেছে আমাদের জীবনের বহু কিছু। নওশাদের সঙ্গে খেতে বসে, টেবিল ভর্তি খাবার দেখেও মনে পড়েছিল হুমায়ূন ভাইয়ের কথা। তিনি এ রকম টেবিল ভর্তি খাবার দেখলে উচ্ছ্বসিত হতেন।</div> <div> এসব ৯ সেপ্টেম্বরের কথা। মঙ্গলবার। বিকেলবেলা গেলাম চট্টগ্রাম চেম্বারে। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ছিলেন, দুই পরিচালক ছিলেন- মাহফুজুল হক শাহ্ এবং জহিরুল ইসলাম আলমগীর। অনেক জরুরি কথা বললেন তাঁরা। মাহবুবুল আলম সাহেব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে রূপান্তর এবং একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের দাবি জানালেন সরকারের কাছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দেশের ‘লাইফলাইন’ বললেন তিনি। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে জাপানে গিয়েছিলেন। সেই সময়ের সূত্র ধরে বললেন, সার্বিক বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সুতরাং এই বাণিজ্যিক রাজধানীর প্রতি সরকারের গভীর মনোযোগ আমরা আশা করি।</div> <div> চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্ বললেন, চট্টগ্রাম ঘিরে বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। জহিরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনা উচিত।</div> <div> চট্টগ্রাম চেম্বার বিল্ডিংটি চোখে পড়ার মতো। এখনো নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। শেষ হলে এই বিল্ডিং চট্টগ্রামের আরেক অহংকার হয়ে দাঁড়াবে।</div> <div> রাতেরবেলা চট্টগ্রামের সংবাদপত্র এজেন্ট ও হকার্স সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা হলো ‘রোদেলা বিকেল’ নামের এক রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী টগবগে তরুণ রফিকুল বাহার। নামের মতোই øিগ্ধ রুচিশীল রেস্টুরেন্ট। ইনটেরিয়রে যেমন রুচিশীলতা, খাবারেও তেমন। অতি সুস্বাদু ও চমৎকার খাবার। বাহার সংবাদপত্রের লোক। খ্যাতিমান সাংবাদিক। আমাদের কালের কণ্ঠেও ছিলেন। ‘বাতিঘর’ করে দিপঙ্কর যেমন চমক সৃষ্টি করেছেন, ‘রোদেলা বিকেল’ করে বাহারও করেছেন একই রকমের চমক সৃষ্টি।</div> <div> শিল্প-সংস্কৃতিতে বরাবরই চট্টগ্রাম আছে আমাদের মাথার ওপরে। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে একঝাঁক তরুণ কণ্ঠশিল্পী এসে বাংলাদেশের সংগীতজগতের চেহারা বদলে দিয়েছিল। কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, আইয়ুব বাচ্চু, নকিব খান- এ রকম কত শিল্পী, যাঁরা এখনো অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করছেন বাংলাদেশের সংগীতজগৎ।</div> <div> চট্টগ্রামের তরুণরা বরাবরই সৃষ্টিশীল। সৃষ্টিশীলতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণার জন্ম দিয়ে বাংলাদেশকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।</div> <div> পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার। গিয়েছিলাম ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের অফিসে। ওয়েস্টার্ন মেরিন জার্মানিতে জাহাজ রপ্তানি করছে, নেদারল্যান্ডসে করছে। কম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মোহাম্মদ ফজলে রশিদ, কারিগরি বিভাগের পরিচালক আবদুল মোবিন, বাণিজ্য বিভাগের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন। নিজেদের কম্পানির জাহাজ নির্মাণ এবং সার্বিক কর্ম নিয়ে ছোট্ট একটা ডকুমেন্টারি দেখালেন। দেখে আমার মনে হলো এত বাধাবিঘ্নের পরও অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ, এ এক বিরাট গৌরবের ঘটনা।</div> <div> দুপুরবেলা বিজ্ঞাপন সংস্থার কয়েকজন তরুণের সঙ্গে সময় কাটল। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা কথা বললেন। শুনে আমার মনে হলো, বিজ্ঞাপনজগতেও বড় ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।</div> <div> বিকেলবেলা বিএসআরএম গ্রুপ অব কম্পানিজের অফিসে বসে চা খাওয়া হলো। বিএসআরএম স্টিল অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্টিল সেক্টরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। হরতাল-অবরোধেও তারা পুলিশ পাহারায় তাদের পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, তবু বিএসআরএম দমে যায়নি। ক্রেতার সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রেখে এগিয়ে চলেছে। বিএসআরএমের ঊর্ধ্বতনদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হলো। এম ফিরোজ, এম ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, আলী মাহবুব হোসাইন, ধ্রুবজ্যোতি হোর- এসব মানুষের কর্মনিষ্ঠায় দ্রুত এগোচ্ছে বিএসআরএম।</div> <div> পরদিন সকালবেলা দেখা হলো বাংলাদেশের খুবই নামকরা, বড় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি সাইফুল আলম মাসুদ। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁকে দেখে, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার মনে পড়ল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম শিল্পপরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের মান্যবর চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাহেবের কথা। তিনি কথায় কথায় একদিন বলেছিলেন, যে গাছে যত বেশি ফল ধরে সেই গাছ তত বেশি মাটির দিকে ঝুঁকে থাকে। মাসুদ সাহেব অতি বিনয়ী শান্ত নম্র ভদ্রলোক। এত সুন্দর করে হাসেন, এমন নির্মল হাসি আমি খুব কম মানুষেরই দেখেছি। খুব ভালো লাগল ভদ্রলোককে।</div> <div> আরেক বড় গ্রুপ পিএসপি। চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান সাহেব আমার পূর্বপরিচিত। দুপুরবেলা ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হলো। তিনি একটু অসুস্থ। হয়তো এবার তাঁর সঙ্গে দেখা হবে না। মিজান ভাইয়ের ব্যাপারে আমার বিশাল দুর্বলতা। তাঁর ইউনিভার্সিটি ‘ইউআইটিএস’-এ আমি একদিন তাঁর বক্তৃতা শুনেছিলাম। এত আকর্ষণীয় বক্তৃতা, সুফি ইজমের ওপর এত জ্ঞান, বিভিন্ন বিষয়ে এত উদ্ধৃতি, শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগত। মিজান ভাইয়ের বড় ছেলে কম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহসিনের আমন্ত্রণে গেছি তাঁদের অফিসে। চা খাচ্ছি, মিজান ভাই হাজির। অসুস্থ শরীর নিয়েও আমার সঙ্গে দেখা করতে চলে এসেছেন। আহা, কী যে ভালো মানুষ! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম নিয়ে এত সুন্দর সুন্দর কথা বললেন, আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন কালের কণ্ঠের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান জেড এম আহমেদ প্রিন্স আর চট্টগ্রামের ব্যুরো চিফ বিখ্যাত সাংবাদিক ফারুক ইকবাল। মিজান ভাইয়ের সাত ছেলে। তাঁদের দুজনার সঙ্গে পরিচয় হলো। তাঁরাও হয়েছে বাবার মতোই। নম্র বিনয়ী ভদ্র ও উচ্চশিক্ষিত।</div> <div> চট্টগ্রামের আরেক তরুণ নিয়াজ মোরশেদ এলিট, বরতাকিয়া মোটরসের এমডি। দেখতে যেমন সুদর্শন, কর্মেও তেমন। এই তরুণ বহু সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা ভাবছেন অবিরাম। চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে ‘চট্টগ্রাম খুলশি ক্লাব’ তৈরি করেছেন, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০১৪’র ন্যাশনাল ডিরেক্টর তিনি। তাঁর কথা ও চিন্তাভাবনা, স্বপ্ন ও জীবনদর্শন আমার ভেতরে এমন এক শক্তি তৈরি করল, আমি নিশ্চিত, এলিটের মতো তরুণরাই আমূল বদলে দেবে বাংলাদেশ।</div> <div> চট্টগ্রামে আমরা উঠেছিলাম সিনিয়রস ক্লাবে। ক্লাবের কর্তাব্যক্তিদের দুজন সারাক্ষণই খোঁজখবর রাখছিলেন। একজন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, তাঁর ডাক নাম বাবুল। আরেকজন ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী, তাঁদের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।</div> <div> আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিল দৈনিক ‘পূর্বদেশ’ পত্রিকায়, ১৯৭৩ সালে। তখন পত্রিকাটি বেরোত ঢাকার অবজারভার হাউস থেকে। এখন ‘পূর্বদেশ’ নামের একটি দৈনিক প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম থেকে। যেহেতু প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিল সেহেতু ‘পূর্বদেশ’ নামটির প্রতি আমার খুব দুর্বলতা। ওসমান গণি মনসুর এই পত্রিকার সম্পাদক। সামান্য আড্ডা হলো মনসুরের সঙ্গে। আড্ডা হলো দৈনিক ‘সুপ্রভাত’ সম্পাদক রুশো মাহমুদের সঙ্গে। ‘বাতিঘর’ আমাকে নিয়ে যে চমৎকার আয়োজনটি করেছিল সেখানে দেখা হয়েছিল কবি সাংবাদিক আবুল মোমেনের সঙ্গে, দৈনিক ‘আজাদী’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কবি ওমর কায়সার, কবি এজাজ ইউসুফি, সাংবাদিক মাঈনুদ্দীন দুলাল, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, প্রাবন্ধিক সিদ্দিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার- এইসব বিশিষ্ট মানুষের সান্নিধ্যে আনন্দিত হয়েছি। বিশ্বজিৎ চৌধুরীর কথা বিশেষভাবে বলতে হবে। অনুষ্ঠানটি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছিলেন তিনি। বিশ্বজিৎ কবি গল্পকার ঔপন্যাসিক। আমি তাঁর লেখা খুব পছন্দ করি।</div> <div> আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান এবং বাংলানিউজ২৪-এর কার্যালয় কর্মী বন্ধুদের সঙ্গে ভাল সময় কেটেছে।</div> <p> ফেরার দিন শেষ বিকেলে আমরা গিয়েছিলাম পতেঙ্গায়। সমুদ্রে সূর্যাস্ত দেখা হলো। সূর্য ডোবার পরও আমি, প্রিন্স আর ফারুক ইকবাল দাঁড়িয়েছিলাম সমুদ্রতীরে। আমার তখন বারবার মনে হচ্ছিল চট্টগ্রামের কথা। শুধু চট্টগ্রামকে ব্যবহার করে উন্নতির অনেকখানি উচ্চতা স্পর্শ করতে পারে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করা উচিত সরকারের, চট্টগ্রাম নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য চট্টগ্রামের চেয়ে উপযোগী জায়গা আর নেই। চট্টগ্রাম আসলে বাংলাদেশের বাতিঘর। চট্টগ্রামের আলোয় অনেকখানি আলোকিত হতে পারে বাংলাদেশ।</p>