<p><strong>[নবম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে জবা ফুলের উল্লেখ আছে]</strong></p> <p>জবা মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত হালকা গন্ধযুক্ত একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus rosa-sinensis. ১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস এই নাম দেন। লাতিন শব্দে rosa-sinensis-এর অর্থ ‘চীন দেশের গোলাপ’। তাই হয়তো এটি চীনা গোলাপ নামেও পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশে জবাগাছ বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন—তামিলে সেম্বারুথি, হিন্দিতে জবা কুসুম, মালয়ালামে সেম্পারাত্তি প্রভৃতি। আমাদের দেশে এটি রক্তজবা, জবা, জবা কুসুম প্রভৃতি নামে পরিচিত। জবা ফুল লাল, গোলাপি, সাদা, হলুদ প্রভৃতি বর্ণের হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই গাছ দেখা যায়। পূজার ফুল হিসেবে জবা ফুলের গুরুত্ব অনেক। বিভিন্ন পূজায় এই ফুলের বিশেষ চাহিদা থাকে। সাধারণত ফুল সতেজ থাকে দু-তিন দিন পর্যন্ত।</p> <p>জবাগাছ চিরসবুজ, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। এর উচ্চতা আট থেকে ১৬ ফুট। পাতাগুলো চকচকে সবুজ এবং ফুলগুলো উজ্জ্বল ও পাঁচটি পাপড়িযুক্ত। ফুলগুলোর ব্যাস গড়ে চার ইঞ্চি। জবা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবাগাছকে গ্রিনহাউসে রাখা হয়। যেকোনো মাটিতেই জবাগাছ জন্মে। তবে দো-আঁশ ও বেলেমাটিতে জবাগাছের চাষ ভালো হয়। গাছে ছত্রাক বা মিলিবাগ আক্রান্ত হলে ফুলের বোঁটা নরম হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একবার নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করলে ভালো হয়।</p> <p>জবার বংশবিস্তার হয় বীজ, কন্দ ও শাখা কলমের মাধ্যমে। জবাগাছে ফুল ফোটে প্রায় সারা বছরই। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এই ফুল দেখা যায়। জবা ফুলের ঔষধি গুণ আছে। এই ফুলের নির্যাস থেকে বেশ কিছু আয়ুুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে জবা ফুলের তৈরি চা উপকারী। এই ফুলে ভিটামিন সি রয়েছে। চোখ ওঠা দূর করতে জবাপাতার প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>