<p><strong>প্রথম অধ্যায়</strong></p> <p>  <p><strong>উদ্দীপক </strong>: জনাব কবির তাঁর সঞ্চয়কৃত ৫০ লাখ টাকার অর্ধেক দিয়ে একটি ইলেকট্রিক পণ্যের শোরুম এবং অবশিষ্টাংশ দ্বারা একটি ছোট বেকারি ব্যবসায় শুরু করেন। প্রথম দিনে বেকারি ব্যবসায় লোকসান দেখা দেয়, যা তিনি ইলেকট্রিক পণ্যের বিক্রয়লব্ধ আয় থেকে পুষিয়ে নেন। বেকারি নতুন মেশিন সংস্থাপনের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাসিক কিস্তি পরিশোধ সাপেক্ষে ২০ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ফলে বেকারিতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা আসে এবং বিক্রয় বৃদ্ধি পায়।</p> </p> <p>ক) বাণিজ্য ঘাটতি কী?</p> <p>খ) প্রাপ্য বিল বাট্টাকরণ কী? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>গ) জনাব কবির অর্থায়নের কোন নীতি অনুসরণ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেন? বর্ণনা করো।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের তহবিলের ব্যবহার হয়? বিশ্লেষণ করো।</p> <p>উত্তর : ক) রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হওয়াকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।</p> <p>খ) নির্দিষ্ট পরিমাণ বাট্টা দিয়ে বিল ভাঙানোকে প্রাপ্য বিল বাট্টাকরণ বলে। যখন বাকিতে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকার হিসেবে বিক্রেতাকে একটি বিনিময় বিল প্রদান করে, তখন তা বিক্রেতার নিকট প্রাপ্য বিল হিসেবে গণ্য হয়। ওই বিনিময় বিল একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য তৈরি করা হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে বিলের প্রাপকের টাকা প্রয়োজন হলে তিনি কিছু বাট্টা দিয়ে ভাঙাতে পারেন। এভাবে বাট্টা দিয়ে বিল ভাঙানোকে প্রাপ্য বিল বাট্টাকরণ বলে।</p> <p>গ) উদ্দীপকে জনাব কবির অর্থায়নের বৈচিত্র্যায়ণ ও ঝুঁকি বণ্টন নীতি অনুসরণ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেন।</p> <p>কারবারের বৈচিত্র্যায়ণ ও ঝুঁকি বণ্টন নীতির আলোকে কোনো বিনিয়োগকারী তাঁর সমুদয় মূলধন একটি খাতে বিনিয়োগ না করে একাধিক খাতে বিনিয়োগ করে থাকেন, যা ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। কারণ একটি খাতের ক্ষতি হলে, অন্য খাতের লাভ দ্বারা সমন্বয় করে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়।</p> <p>উদ্দীপকে দেখা যায়, জনাব কবির তাঁর সঞ্চয়কৃত ৫০ লাখ টাকার অর্ধেক দিয়ে ইলেকট্রিক পণ্যের শোরুম এবং অবশিষ্টাংশ দ্বারা একটি ছোট বেকারি ব্যবসায় শুরু করেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর সঞ্চিত মূলধন একাধিক খাতে বিনিয়োগ করেন। যে কারণে বেকারি ব্যবসায়ে প্রথম দিকে লোকসান হলেও ইলেকট্রিক পণ্যের আয় থেকে তা পুষিয়ে নিতে পেরেছেন, যা অর্থায়নের বৈচিত্র্যায়ণ নীতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, জনাব কবির অর্থায়নের বৈচিত্র্যায়ণ ও ঝুঁকি বণ্টন নীতি অনুসরণ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেন।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকে জনাব কবিরের ব্যবসায়ের অর্থায়ন প্রক্রিয়া বহিঃস্থ অর্থায়নের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের ব্যবহার।</p> <p>দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন বলতে পাঁচ বছর থেকে ঊর্ধ্বে যেকোনো সময়কালের জন্য তহবিল সংস্থান করাকে বোঝায়। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল বিভিন্ন স্থয়ী সম্পত্তি ক্রয়, ব্যবসায় সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।</p> <p>উদ্দীপকে জনাব কবির তাঁর বেকারি ব্যবসায়ে নতুন মেশিন সংস্থাপনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ সাপেক্ষে ২০ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। অর্থাৎ তিনি বহিঃস্থ উৎস থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন করেন। কারণ তিনি লিজিংয়ের মাধ্যমে অর্থায়ন করেন।</p> <p>দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মধ্যে ঋণ, ঋণপত্র ও লিজিং অন্যতম। এ ক্ষেত্রে বৃহৎ নামকরা প্রতিষ্ঠান শেয়ারের বিকল্প হিসেবে ঋণপত্র ইস্যু করে থাকে। আর ঋণের মাধ্যমে সুদের বিনিময়ে দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের সংস্থান করা যায়। অন্যদিকে লিজিং এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে কোনো স্থায়ী সম্পত্তি সরাসরি ক্রয় না করে লিজিং কম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে হয় না, যা উদ্দীপকে জনাব কবির তাঁর ব্যবসায়ে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তিনি কিস্তি পরিশোধ সাপেক্ষে তাঁর প্রতিষ্ঠানে বহিঃস্থ উেসর দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের ব্যবহার করেন।</p> <p> </p> <p><strong>বাকিতে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকার হিসেবে বিক্রেতাকে একটি বিনিময় বিল প্রদান করে, তখন তা বিক্রেতার নিকট প্রাপ্য বিল হিসেবে গণ্য হয়</strong></p> <p> </p> <p> </p>