<p>আয়না কিংবা পানির বিবর্ধক গুণ সম্পর্কে মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই অবগত। এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে একপর্যায় মানুষ চোখে ব্যবহার উপযোগী লেন্স আবিষ্কার করে। ত্রয়োদশ শতকের দিকে প্রথম লেন্স ব্যবহার শুরু করে ইতালীয়রা। এরও আগে চীনারা চশমা ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু তা ছিল নিম্নমানের। পরে দূরের বস্তুকে কাছে দেখার জন্য ১৬০৮ সালে লেন্স আবিষ্কার করেন জার্মান-ডাচ্ চশমা প্রস্তুতকারী হ্যানস লিপারশে। তাঁর এ আবিষ্কার বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এর এক বছর পরই ১৬০৯ সালে আকাশ নিয়ে গবেষণা করেন গ্যালিলিও গ্যালিলি। লিপারশের আবিষ্কারটির একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি করেন তিনি (গ্যালিলিও গ্যালিলি), যার নাম দেন টেলিস্কোপ। এটি দূরের কোনো বস্তুকে প্রায় ২০ গুণ বড় করে দেখায়। সপ্তদশ শতকের দিকে নেদারল্যান্ডস লেন্স নিয়ে গবেষণা করে। ধারণা করা হয়, এরও আগে ষোড়শ শতকের শেষের দিকে মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কৃত হয়। ডাচ্ প্রাণিবিজ্ঞানী অ্যান্টনি ভন লিউয়েন হুক তাঁর এ আবিষ্কারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার অস্তিত্ব খুঁজে বের করেন। আধুনিক সময়ে চশমা থেকে শুরু করে ক্যামেরা, প্রিন্টিং প্রেসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লেন্সের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।</p>