<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গমতার সুযোগ নিয়ে সেখানে বেশ কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। এরা পাহাড়ে চাঁদাবাজি, লুটপাট, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপকর্মে জড়িত। এদের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্বও আছে। প্রায়ই খুনাখুনির ঘটনাও ঘটে। এমনই একটি গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। এদের বম পার্টি বলেও উল্লেখ করা হয়। এরা সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা সদরে থাকা তিনটি ব্যাংকে হামলা ও লুটতরাজ করে। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। একটি ব্যাংকের ম্যানেজারকে ধরে নিয়ে যায়। এসব সন্ত্রাসীকে ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়। যৌথ বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই শনিবার বিকেল ৫টায় রুমায় যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেএনএফের সদস্যরা। এর আগে শুক্রবারও তারা যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করার পেছনে নানা ধরনের চক্রান্ত কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরেই। পার্বত্য শান্তিচুক্তির সুফল বিনষ্ট করাও তাদের একটি বড় লক্ষ্য। এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রও যুক্ত থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তাই কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। জানা যায়, ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ গঠিত হয়। এদের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকে এরা একাধিক অস্ত্রের চালান পেয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ব্যাংক ডাকাতির আগে বিভিন্ন সময়ে কেএনএফের সদস্যরা ২৬ জনকে হত্যা করেছে। তাঁদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চার সদস্যও রয়েছেন। অপহরণ করেছে ১৫ জনকে। ভুক্তভোগীদের পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং এই কমিটির মাধ্যমে কেএনএফের সঙ্গে সংলাপও শুরু করা হয়। দুই দফা সংলাপে বেশ কিছু সমঝোতা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সশস্ত্র কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা। কিন্তু তারা সেই সমঝোতা ভঙ্গ করে তিনটি ব্যাংক শাখায় হামলা ও লুটতরাজ করে। অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষকই মনে করেন, তারা সংলাপ করছিল সময়ক্ষেপণ ও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য মাত্র।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">মিয়ানমারে এখন চরম অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। অস্ত্র ফেলে দিয়ে পালাচ্ছে অনেক সেনা সদস্য ও বিজিপি সদস্য। সেসব অস্ত্রও সন্ত্রাসীদের হাতে যাচ্ছে। অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গেও সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও কেএনএফের সখ্য রয়েছে। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফের প্রধান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রামজুং পাহাড় থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া নামের একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ১৭ জন এবং কেএনএফের তিনজনকে আটক করা হয়। তাই কেএনএফের বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতেই হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">শুধু কেএনএফ নয়, আরো কয়েকটি গোষ্ঠী পার্বত্যাঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এদিকে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন সক্রিয় রয়েছে বলেও প্রকাশিত খবরে দেখা যায়। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>