<p>নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে উপাসনালয়ে নিরাপত্তাব্যাবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।</p> <p>সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলার ঘটনার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের মসজিদে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ‘কোনো মসজিদ বা উপাসনালয়ে সম্ভাব্য হামলার হুমকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে’ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, হামলাকারী তার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নিউ সাউথ ওয়েলসের কোনো এক শহরের বাসিন্দা।</p> <p>লন্ডনের মসজিদগুলোর নিরাপত্তাব্যাবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। শহরটির মেয়র এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে এলে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হবে।</p> <p>এক বিবৃতিতে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে আমি লন্ডনের মুসলিমদের আশ্বস্ত করতে চায়। আমি মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়টিকে তদারকি করছি। আজকে মসজিদগুলোর সামনে সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ ও অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। যাতে লন্ডনের বাসিন্দারা প্রার্থনার জন্য যেতে পারে।’</p> <p>যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার প্রধান নীল বসু বলেন, ‘আমরা মানুষদের আশ্বস্ত করতে মসজিদগুলোর চারপাশে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করব। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষদের সঙ্গে কথা বলব। যাতে হামলা হলে কিভাবে নিজেকে নিরাপদে রাখা যায় সে সম্পর্কে যেন তারা জানতে পারে।’</p> <p>ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তফ কাস্তানার জানান, ওই ঘটনার পর তাঁদের দেশের মসজিদসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ের নিরাপত্তা জোরদার শুরু করেছে সরকার।</p>