* ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ
পদ ও যোগ্যতা : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ২টি। এইচএসসি। শর্টহ্যান্ড গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ। ইংরেজিতে ৭০ শব্দ।
* ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ
পদ ও যোগ্যতা : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ২টি। এইচএসসি। শর্টহ্যান্ড গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ। ইংরেজিতে ৭০ শব্দ।
বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ৬টি। এইচএসসি।
বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : মহাপরিচালক (অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, সেক্টর-১০, উত্তরা, ঢাকা।
ওয়েব: www.police.gov.bd
সূত্র : যুগান্তর, ১৯ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১৭
* বাংলাদেশ টেলিভিশন
পদ ও যোগ্যতা : সহকারী হিসাবরক্ষক, ৩টি। স্নাতক।
বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : ক্যাশিয়ার, ১টি। বাণিজ্যে এইচএসসি। লাইটিং সহকারী, ২টি। ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বা ইলেকট্রিক্যাল কোর্সে ট্রেড সার্টিফিকেট। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ৫টি। এইচএসসি। স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউট টেস্টে উত্তীর্ণ।
ড্রাইভার, ১টি। অষ্টম শ্রেণি। হালকা, মাঝারি ও ভারী যানবাহন চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : ক্যামেরাম্যান সহকারী, ২টি। এসএসসি।
বেতনক্রম : ৯০০০-২১৮০০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : রামপুরা, ঢাকা-১২১৯
ওয়েব: www.pbrlp.gov.bd
সূত্র : সমকাল, ২৩ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১৬
* স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
পদ ও যোগ্যতা : ফিল্ড সুপারভাইজার, ২টি। স্নাতক বা সমমান। জনস্বাস্থ্য-বিষয়ক কাজে ১ বছরের অভিজ্ঞতা। কম্পিউটার পরিচালনায় প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৪০ বছর।
বেতন : ২০০০০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : ফিল্ড ওয়ার্কার, ৫০টি। এসএসসি বা সমমান। জনস্বাস্থ্য-বিষয়ক কাজে ১ বছরের অভিজ্ঞতা।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৪০ বছর।
বেতন : ১২০০০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : এইচআইভি কাউন্সিলর, ২টি। এইচএসসি বা সমমান। জনস্বাস্থ্য-বিষয়ক কাজে ১ বছরের অভিজ্ঞতা।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৪০ বছর।
বেতন : ১৬০০০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ নভেম্বর।
যোগাযোগ : টিবি গেট, মহাখালী, ঢাকা-১২১২।
সূত্র : সমকাল, ২২ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১৩
* শিল্পকলা একাডেমি
পদ ও যোগ্যতা : ইনস্ট্রাক্টর (চারুকলা), ১টি। চারুকলা বিষয়ে স্নাতকোত্তরসহ চারুকলায় শিক্ষাদানে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা চারুকলা বিষয়ে স্নাতকসহ চারুকলায় শিক্ষাদানে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা। কালচারাল অফিসার, ১টি। প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তরসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা স্নাতকসহ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। সহকারী সচিব, ১টি। স্নাতকোত্তরসহ বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কাজে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা। সহকারী পরিচালক (পিএস), ১টি। স্নাতকোত্তর। সেক্রেটারিয়েল কোর্সসহ কোনো বিধিবদ্ধ সংস্থায় ৭ বছর কাজের অভিজ্ঞতা। যন্ত্রশিল্পী, ৫টি। এসএসসি। সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে ৪ বছরের প্রশিক্ষণ এবং যন্ত্রশিল্পী হিসেবে ৩ বছর স্টেজ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা। নৃত্যশিল্পী, ১টি। এসএসসি। সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে ৪ বছর স্টেজ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা। কণ্ঠশিল্পী, ৩টি। এসএসসি। সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে ৫ বছরের প্রশিক্ষণ এবং কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ৫ বছর স্টেজ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা।
বেতনক্রম : ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা, ১টি। সাংবাদিকতায় স্নাতক (সম্মান)। জনসংযোগ বা সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞরা অগ্রাধিকার পাবেন।
বেতনক্রম : ১৬০০০-৫৩০৬০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : কণ্ঠশিল্পী (জুনিয়র), ১টি। এসএসসি। কণ্ঠসংগীতে ৩ বছরের প্রশিক্ষণ।
বেতনক্রম : ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ১টি। স্নাতক বা সমমান। কম্পিউটার ব্যবহারসংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ে গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ।
বেতনক্রম : ১০২০০-২৬৫৯০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : প্রজেক্টর অপারেটর, ১টি। এসএসসি। স্লাইড ও ফিল্ম প্রজেক্টর চালনায় ২ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
সূত্র : যুগান্তর, ২৩ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১৭
* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর
পদ ও যোগ্যতা : উচ্চমান সহকারী, ৩টি। স্নাতক।
বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : বেতার যন্ত্রচালক (ওয়্যারলেস অপারেটর), ২টি। টিঅ্যান্ডটি ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ। এইচএসসি।
বেতনক্রম : ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ৩৫টি। এইচএসসি বা সমমান। টাইপিংয়ে গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ করে। কম্পিউটার অ্যাপটিচ্যুড টেস্টে উত্তীর্ণ। গাড়িচালক, ৫টি। অষ্টম শ্রেণি। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ হালকা ও ভারী যানবাহন চালনায় ৩ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতনক্রম: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : অফিস সহায়ক, ৩টি। অষ্টম শ্রেণি।
বেতনক্রম : ৮২৫০-২০০১০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১২ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ঢাকা।
সূত্র : ইত্তেফাক, ১৮ নভেম্বর, পৃষ্ঠা ৪
* চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর
পদ ও যোগ্যতা : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ৪টি। এইচএসসি বা সমমান। শর্টহ্যান্ড গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ। ইংরেজিতে ৭০ শব্দ। কম্পিউটার ব্যবহারসংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিং ইত্যাদিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ। সাব-এডিটর, ১টি। স্নাতক বা সমমান। প্রুফ রিডিং ও সাব-এডিটিং কাজে ২ বছরের অভিজ্ঞতা। বাংলা ও ইংরেজিতে পারদর্শী। রেফ্রিজারেশন মেকানিক, ১টি। এসএসসি বা সমমান। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিংয়ে ডিপ্লোমা। সংশ্লিষ্ট কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতনক্রম : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।
পদ ও যোগ্যতা : ড্রাইভার, ১টি। অষ্টম শ্রেণি। হালকা ও ভারী মোটরগাড়ি চালানোর লাইসেন্সধারী। অভিজ্ঞরা অগ্রাধিকার পাবেন।
বেতনক্রম : ৯৭০০-২৩৯৪০ টাকা
পদ ও যোগ্যতা : প্রুফ রিডার, ২টি। এইচএসসি বা সমমান। প্রুফ রিডিংয়ে ন্যূনতম ২ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতনক্রম : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : ১১২ সার্কিট হাউস রোড, ঢাকা।
ওয়েব: www.dfp.gov.bd
সূত্র : ইত্তেফাক, ১৭ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১৬
* এসেনশিয়াল ড্রাগস
পদ ও যোগ্যতা : সাব-অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল ২টি, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ২টি, ইলেকট্রিক্যাল ২টি ও ইলেকট্রনিকস ২টি)। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা। ৮ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
পদ ও যোগ্যতা : ফোরম্যান/সিনিয়র টেকনিশিয়ান, ২টি। এসএসসি। ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্টে কমপক্ষে ১০ বছর ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারিজ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে এবং তার মধ্যে ফোরম্যান/ সুপারভাইজার হিসেবে কমপক্ষে ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতা।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
আবেদনের শেষ তারিখ : ৩ ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : মহাব্যবস্থাপক, এডমিন অ্যান্ড এইচআর, এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড, ৩৯৫-৩৯৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮।
সূত্র : ডেইলি স্টার, ২৩ নভেম্বর, পৃষ্ঠা-১১
-তাহ্সীন উদ্দীন
অফিস সহায়কের কাজ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের ‘চাকরি বিধি’ অনুসারে অফিস সহায়ককে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সাধারণত অফিসের ফাইলপত্র আনা-নেওয়া, যথাস্থানে রাখা, অফিসের দরকারি জিনিসপত্র রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় এ পদের কর্মীকে। এ ছাড়া অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করতে হয় অফিস সহায়ককে। এ পদটি আগে ‘পিয়ন’ নামে পরিচিত ছিল।
নিয়োগ পরীক্ষার ধরন
লিখিত ও মৌখিক দুই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমেই চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করা হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
যেমন ছিল বিগত পরীক্ষা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ২০২২ সালের অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিরীক্ষা করে দেখা যায়, মোট ৪০ নম্বরের এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ১০, গণিতে ১০ এবং সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে ১০ নম্বর রাখা হয়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০২২ সালের অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত লিখিত পদ্ধতিতে নেওয়া হয় ৭০ নম্বরে। এতে বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ১৫, গণিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার সম্পর্কিত বিষয়ে ২০ নম্বর রাখা হয়। তবে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবারের নিয়োগ পরীক্ষা কত নম্বরে ও কী পদ্ধতি থাকবে তা আবেদন জমার পর নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে নেওয়া হবে।
বিগত পরীক্ষার আলোকে প্রস্তুতি
অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়েই প্রস্তুতি নিতে হবে। অফিস সহায়ক পদটি চতুর্থ শ্রেণির সমমানের গ্রেডের। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে। বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য ব্যাকরণ অংশের গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায় যেমন-বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচনে বেশি জোর দিতে হবে। ইংরেজির বেশিরভাগ প্রশ্ন আসে গ্রামার অংশ থেকে। তাই ইংরেজি গ্রামার অংশের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেমন—ট্রান্সফরমেশন অব ভার্বস, ফ্রেইজ অ্যান্ড ইডিয়মস, ট্রান্সলেশন, ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংক, সেনটেন্স মেকিং, কারেকশন, ন্যারেশন, ভয়েস, পার্টস অব স্পিচ অধ্যায়গুলোতে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। গণিত বিষয়ে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি এই অংশ থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে। পাটিগণিতে জোর দিতে হবে লসাগু, গসাগু, শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত ও সমানুপাত অধ্যায়। বীজগণিতে সেট, উৎপাদক ও মাননির্ণয় অধ্যায়টা আয়ত্তে রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ের দেশ ও বিদেশের আলোচিত বিষয়সহ সমসাময়িক বিষয়, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব—এসব বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নানাবিধ কার্যক্রম জানা খুবই জরুরি। ভালো প্রস্তুতিতে বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে অনুশীলন করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলোও বেশ ভালো কাজে দেবে। ইন্টারনেট, ফেসবুক ও ইউটিউবে চতুর্থ শ্রেণির পূর্বের প্রশ্নপত্র ও সমাধানসহ নানা ধরনের ভিডিও পাওয়া যায়। অনুশীলন করা যেতে পারে সেগুলোও। প্রতিষ্ঠানভেদে এমসিকিউ বা সংক্ষিপ্ত লিখিত দুই ধরনের পরীক্ষার জন্যই নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা ও বেতন-ভাতা
প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদনের শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা। ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবেদনের শেষ সময় ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৪টা। ১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২০তম গ্রেডে টাকা অনুসারে বেতন (৮২৫০-২০০১০ টাকা), ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদনের লিংক : http://doict.teletalk.com.bd
ভাইভা হয়েছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে। অনুমতি নিয়ে রুমে ঢুকে সালাম দিলাম।
চেয়ারম্যান : অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। আপনাকে এটার ওপরই প্রশ্ন করব।
Economics deals with__?
(এককথায় জানতে চাচ্ছিলেন)
@Efficient use of resource.
Resource is__?
@Something that belongs value.
আচ্ছা, আমাদের দেশে যে সত্যিই উন্নয়ন হচ্ছে, তা আমরা কিভাবে বুঝতে পারব?
—মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, সাক্ষরতার হার, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে, ম্যাডাম।
অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে উন্নয়নকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন আপনি?
—এটি রোস্টভের প্রবৃদ্ধির মডেলের মাধ্যমে ব্যাখা করতে পারি। যার পাঁচটি পর্যায় আছে। আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে (প্রি টেক অব পিরিয়ড) রয়েছি।
এই অবস্থায় আমাদের ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ করা উচিত?
—অবশ্যই উচিত, ম্যাডাম। আমাদের কিছু সংস্কার নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যা সঠিকভাবে করতে পারলে ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ আশীর্বাদ হবে।
‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ করলে আমরা কী কী সমস্যায় পড়ব?
—অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট কমে যাবে, সুদের হার বেড়ে যাবে।
এগুলো থেকে উত্তরণের উপায় কী?
—আমরা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ পাচ্ছি, এটিকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির কার্যকারিতা বেড়েছে।
অবকাঠামোগত কিছু কি আছে?
—আমাদের বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলমান, যা ২০২৬ সাল নাগাদ চালু হবে।
সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন কি থাকা উচিত?
—আমি মনে করি, থাকা উচিত।
কেন?
—নারীরা সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো পর্যায়ে এখনো যেতে পারেনি বলে যথাযথ অবদান রাখতে পারছে না।
এক্সটার্নাল-১ : আপনি রোস্টভের মডেলের কথা বললেন, আমি এখান থেকেই প্রশ্ন করি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পার্থক্য কী?
—স্যার, প্রথম পর্যায় হলো, প্রাচীন স্তর বা পর্যায়। এটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে এই অর্থনীতির সম্প্রসারণ বা উন্নয়ন হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
ডলারের বিনিময় হার বাড়ার কারণ কী?
—বাইরের বাজারের রেট মূল রেট থেকে ভিন্ন। এ ছাড়া হুন্ডি, অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে ডলারের বিনিময় হার বাড়ছে।
এক্সটার্নাল-২ : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) কী কী কাজ করেন? (আমি চাকরিরত থাকা অবস্থায় ভাইভা দিয়েছি)
—আমরা মূলত চারটি কাজ করি—১. এনার্জি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন জ্বালানি খাত) খাতের নিষ্পত্তি, ২. লাইসেন্স প্রদান, ৩. ট্যারিফ নির্ধারণ ও ৪. জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা।
আপনারা গ্রাহকদের জন্য কী করেন? তারা তো আপনাদের ওপর খুশি না।
—স্যার, একদিকে আমাদের যেমন সরকারের স্বার্থ দেখতে হয়, অন্যদিকে গ্রাহকদের কথাও বিবেচনায় রাখতে হয়। তাই আমরা গণশুনানির মাধ্যমে সব অংশীজনের এমনকি জনসাধারণেরও মতামত নিই। পরে ন্যায্য দাম নির্ধারণ করি।
কাজ করতে গিয়ে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে?
—বিইআরসি নিজের মতো কাজ করে আসছে। বর্তমান কমিশন বেশ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। যদিও বিগত কমিশনের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে কিছুটা চাপ ছিল।
২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির কারণ কী ছিল?
—সাইবার নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল, স্যার।
কোথায় কোথায় ঝামেলা ছিল?
—ছুটির দিন অফিসের কোনো ডিভাইস অন থাকার কথা না। তার পরও কেন ছিল, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণেরও কোনো সিস্টেম ছিল না। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় বাইরের মানুষ যাওয়া-আসা করতে পারত, যা পরে নিয়ন্ত্রণ বা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
আপনি তো নারী কোটার কথা বললেন। এর আদৌ দরকার আছে?
—দুঃখিত স্যার, ম্যাডাম আমাকে সংসদে সংরক্ষিত আসনের কথা বলেছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এর দরকার আছে। তবে অন্য কোনো কোটার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
চেয়ারম্যান : ঠিক আছে, আপনি আসুন।
আমি : ধন্যবাদ, ম্যাডাম।
(সবাইকে সালাম দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে বেরিয়ে এলাম।)
প্রস্তুতির শুরু
কুড়িগ্রামের রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন শেখ সাদলী আল জাদিদ। এইচএসসি দেন ঢাকার সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। উভয় পরীক্ষায়ই পান জিপিএ ৫। ২০১৮ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
প্রিলি ও রিটেনের পড়াশোনা
সাদলীর প্রস্তুতির কৌশলটা ছিল কিছুটা ভিন্নধর্মী। তিনি কখনোই আলাদা করে প্রিলিমিনারির জন্য পড়াশোনা করেননি। তাঁর পুরো প্রস্তুতিটাই ছিল লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রিক। কারণ বিজেএসের প্রিলিমিনারির পর দুই মাসে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করা সম্ভব নয়।
ভাইভা প্রস্তুতি
‘বিজেএস ভাইভা আসলে শুধু পড়াশোনা বা বইনির্ভর নয়, এটি একজন প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব যাচাইয়েরও পরীক্ষা। তাই আলাদা করে খুব বেশি সময় ব্যয় করিনি ভাইভার প্রস্তুতির জন্য। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসী, স্বাভাবিক, ভদ্রতা বজায় রেখে উত্তর বা মতামত প্রকাশের চেষ্টা করেছি। প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতিই আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে’, বলেন সাদলী। ভাইভা বোর্ডে ভালো করতে হলে প্রার্থীর জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব, আচরণ এবং তাত্ক্ষণিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
সফলতার রহস্য ও কৌশল
প্রস্তুতি শুরুর আগে এক সপ্তাহ ধরে চিন্তা-গবেষণা করেছেন—কিভাবে প্রস্তুতি নিলে প্রথম পরীক্ষায়ই ভালো করা সম্ভব, পড়াশোনার কোন কৌশল সবচেয়ে কার্যকরী। তিনি বুঝতে পারলেন, সফলতা শুধু পড়াশোনায় সময় দেওয়ার ওপর নির্ভর করে না। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর কৌশল। সব শেষে তিনি এ তিনটি কৌশল অনুসরণ করেছেন—
১. নির্দিষ্ট সময় ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়া, মাঝখানে কিছু সময় বিরতি।
২. নির্দিষ্ট সময় বা দিন পর পর বিষয়গুলো রিভিশন দিতে হবে, যাতে দীর্ঘদিন মনে থাকে।
৩. শুধু পড়া নয়, নিজেকে পরীক্ষা করে শেখা বিষয়গুলো মনে রাখা।
সাদলী বলেন, ‘প্রতিদিন সাড়ে সাত ঘণ্টা পড়ার চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি রিভিশনে। শুধু আইন নয়, সাধারণ জ্ঞান অংশেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে শুধু আইনের মূল বিষয় নয়; বরং প্রতিটি অংশেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।’
নতুনদের জন্য পরামর্শ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টেবিলে বসে থাকার অভ্যাস তৈরি করা। প্রতিদিন পড়াশোনা করতে হবে। অনেক সময় পড়তে মন চাইবে না, তবু অল্প হলেও পড়া চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পড়াশোনার জন্য দরকার স্মার্ট কৌশল। সারা দিন একটি বিষয় নিয়ে পড়া কার্যকর কৌশল নয়। তা ছাড়া না বুঝে মুখস্থ করাও ফলপ্রসূ নয়। প্রতিদিনের জন্য একটি পরিকল্পিত-গোছানো রুটিন থাকা জরুরি। যাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময়টা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে পড়াশোনা করা যায়।
যেমন হতে পারে নিয়োগ পরীক্ষা
লিখিত ও মৌখিক—দুই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই ও নিয়োগ করা হবে। প্রথমেই লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের অংশ নিতে হবে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমইউতে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে বর্তমানে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছর এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে মূলত নার্সিংসংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল বিষয়ের ওপর। তাই ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অথবা বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রির পাঠ্য সিলেবাস অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে।
পরীক্ষায় প্রায়ই কিছু কমন প্রশ্ন দেখা যায়। যেমন—রোগীর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন, ওষুধ প্রয়োগ, জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি পরিচালনার পদ্ধতি ইত্যাদি। এসব বিষয়ে প্রার্থীর স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি নার্সিং শিক্ষাকালীন মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতিতে ব্যাকরণ অংশের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেমন—বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, বিভক্তি, শব্দ, যুক্তবর্ণ, প্রবাদ-প্রবচনে বেশি জোর দিতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে ব্যাকরণে ভালো ধারণা রাখতে হবে। গদ্য ও পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন করা হয়। বাংলায় প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই যথেষ্ট। ইংরেজির বেশির ভাগ প্রশ্ন গ্রামার থেকেই করা হয়। গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেমন—
Transformation of verbs, Right form of verb, Group verbs, Appropriate word, Appropriate preposition, Idioms & Phrases, Translation, Fill in the blank, Sentence making, Correction, Narration, Voice, Parts of speech, Synonyms & Antonyms-এ ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। কম সময়ে প্রস্তুতি নিতে নবম-দশম শ্রেণির ইংরেজি ব্যাকরণ বই পড়তে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ের দেশ-বিদেশের আলোচিত বিষয়সহ সমসাময়িক বিষয়, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব—এসব বিষয়ের ওপরও জানাশোনা থাকতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সাধারণ জ্ঞানের বইগুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। বইগুলো প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। পাশাপাশি বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে পারলে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। বাজারে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের বেশ কিছু প্রকাশনীর প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। বাছাই করে ভালো বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
নিয়োগের শর্ত ও বেতন-ভাতা
এ বছরের নিয়োগে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটার বিধান রেখে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী নির্ধারিত ১০ গ্রেডে (টাকা ১৬,০০০-৩৮,৬৪০) অনুসারে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদন ও পদের সারাংশ
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) রেজিস্ট্রার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সিং সেবায় লোকবলের বেশ ঘাটতি রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ বছরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। নার্সিং সেবা ও পেশায় গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে আবেদনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অথবা বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রি। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হবে। প্রার্থীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
কাজ কী
একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন—ভর্তি করা রোগীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা, ডাক্তারদের চিকিৎসা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করা, জুনিয়র নার্সদের তত্ত্বাবধান ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, চিকিৎসাসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা, হাসপাতালের নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করা, রোগীর মানসিক, স্বাস্থ্যগত ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ইত্যাদি। এ ছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতালের নির্দেশনা অনুসারে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আবেদন লিংক : www.bmu.ac.bd