ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

১ হাজার শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার খাতা-কলম দিল গ্রীন সোসাইটি

শাখাওয়াত হোসাইন, চবি
শাখাওয়াত হোসাইন, চবি
শেয়ার
১ হাজার শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার খাতা-কলম দিল গ্রীন সোসাইটি
খাতা-কলম পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশু শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন গ্রীন সোসাইটি বাংলাদেশের 'একটি খাতা একটি কলম' প্রকল্প বেশ সাড়া ফেলেছে।

শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সুবিধা বঞ্চিত এক হাজার শিশু শিক্ষার্থীর মাঝে গত সোমবার ১০ হাজার খাতা-কলম বিতরণ করেছে সংগঠনটি।

সংগঠনের উদ্যোক্তারা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ষোলশহর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এসব শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন। তারা এ প্রকল্পটির নাম দিয়েছেন 'একটি খাতা, একটি কলম'।

সংগঠনটি আরো ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে খাতা-কলম বিতরণের টার্গেট করেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী ২০০৪ সালে গ্রীন সোসাইটি বাংলাদেশ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন। এর পর থেকে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে গোল টেবিল বৈঠক, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। এসব কর্মসূচি থেকে যা আয় হয় সব অর্থ তারা খরচ করেন শিশুদের কল্যাণে।

এছাড়া সমাজের বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন তারা। এ তরুণরা স্বপ্ন দেখেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যেখানে প্রত্যেক শিশু বই হাতে স্কুলে যাবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি তাদের সংগঠনে এখন সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰার্থীরাও কাজ করছেন 'গ্রীন সোসাইটি বাংলাদেশ'-এর সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এসব তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে যে মানুষটি সব ধরনের সহায়তা করে থাকেন তিনি হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
মূলত তার হাত ধরেই ২০০৪ সালে গ্রীন সোসাইটি অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এছাড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে আনতে তারা নিয়মিত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন।

'গ্রীন সোসাইটি বাংলাদেশ' এর চবি ক্যাম্পাস অ্যামব্যাসেডর রাকিবুল আনোয়ার রাকিব কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ষোলশহর ও উস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের হাতে একটি করে খাতা ও কলম তুলে দিয়েছি। মুলত এর মাধ্যমে আমরা শিশুদের বিদ্যালয়গামী করার চেষ্টা করছি। আমরা ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রামের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছি।

ভবিষ্যতে আমাদের কাজ আরো গতিশীল হবে।' ইতোমধ্যে সংগঠনটির সাথে কাজ করার ব্যাপারে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ