<p>ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র এমন খবর প্রকাশ পেয়েছে। নিষেধাজ্ঞার খবরে ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বেশ ক্ষুব্ধ। তিনি বলেছেন,  ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। ইসরায়েল সরকার এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ চরম অযৌক্তিক এবং অনৈতিক। তিনি জানিয়েছেন, তার দেশের সামরিক বাহিনীর ওপর দেয়া যেকোনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে তারা প্রত্যাখান করবেন। </p> <p>‘নেতজাহ ইয়েহুদা’র ওপর সম্ভাব্য এই নিষেধাজ্ঞার খবর সামনে এসেছে গত শুক্রবারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এক বক্তব্যের পর। এ ছাড়া অ্যাক্সিওস নিউজ সাইট জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ‘নেতজাহ ইয়েহুদা’ ব্যাটিলিয়নের ওপর পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে। বিবিসি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে জানতে পেরেছে বিদেশি সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। </p> <p>পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই ইউনিটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তার সম্পর্কের ইতি টানবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন  বলেছিলে, সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের পদক্ষে দৃশ্যমান হতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটিলিয়ন আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে। </p> <p>নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি কেউ মনে করে যে তারা আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর) একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। তাহলে আমি আমার সব শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।’</p> <p>স্টেট ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যের বাইরে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের লেইহি আইনের লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু ‘সংকল্প’ করেছেন তিনি। লেইহি আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে এই আইনটি কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র। </p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>