<p>সোমবার সেনা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই দলে তিনিও ছিলেন। কিন্তু আসফান আসিক জানিয়ে দিলেন, তাঁকে যেন দেশদ্রোহী ভেবে ভুল না করেন। তাঁর একটাই স্বপ্ন, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলা। অনেক বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে এই লড়াকু মেয়ে বেছে নিয়েছেন ফুটবলকে। ফুটবলকে আঁকড়ে ধরেই তাঁর বেঁচে থাকা। তিনিই কাশ্মীরের প্রথম মহিলা কোচ।</p> <p>তাহলে পাথর ছুড়তে গেলেন কেন?‌ মহিলা ফুটবলারের জবাব, বিশ্বাস করুন, আমরা সত্যিই এমনটা করতে চাইনি। আমাদের প্রতিবাদ চলছিল। আমি বন্ধুদের বলছিলাম, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা কেউ শুরুতে পাথর ছুড়িনি। কিন্তু পুলিশ আমাদের ভুল বুঝল। তারা ভাবল, আমরাও বোধ হয় পাথর ছুড়ব। একজন এগিয়ে এসে এক ছাত্রীকে চড় মারল। উল্টোপাল্টা বলতে লাগল। তখন আর নিজেদের সামলে রাখতে পারিনি। আমার বন্ধুদের পাশেই দাঁড়িয়েছি। তাঁরা পাথর ছুড়েছে। আমিও ছুড়েছি।</p> <p>অকপটে সোমবারের ঘটনা মেনে নিলেন। জানালেন, এই অশান্তির পরিবেশ কে চায়?‌ আমরা তো শান্তিই চাই। আমি চাই, ফুটবল খেলতে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। পুলিশ বা সেনা নির্দোষ এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তাদের আচরণের জন্যও স্থানীয় মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এই ব্যাপারটা অনেকে বুঝতে চান না। আমাদের দেশদ্রোহী ভেবে বসেন।</p> <p> </p>