<p style="text-align:justify; margin-bottom:13px">সিজার লুই মেনোত্তি যখন ১৯৭৮ বিশ্বকাপের দল গোছাচ্ছেন তখন ১৭ বছরের টগবগে তরুণ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তত দিনে আর্জেন্টাইনদের মন জয় করে ফেলেছেন তাঁর পায়ের জাদুতে। মেনোত্তির অধীনে জাতীয় দলে অভিষেকও হয়ে গেছে তাঁর। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকেও দলে চাইছিলেন সবাই। কিন্তু মেনোত্তি কঠিন সিদ্ধান্তটা নেন, ‘চাপ সইতে পারবে না’ বলে স্কোয়াডে রাখেন না তরুণ ম্যারাডোনাকে। </p> <p style="text-align:justify; margin-bottom:13px">ক্যারিয়ারের শুরুতেই তাই স্বপ্নভঙ্গ হয় ম্যারাডোনার। পরবর্তী সময়ে বলেছিলেন, ‘আমি তাঁকে কখনো ক্ষমা করতে পারিনি। তবে তাঁর প্রজ্ঞা তো আমি মুছে ফেলতে পারব না।’ মেনোত্তি-ম্যারাডোনার সম্পর্কটা এমনই তিক্ততা আর সমীহে মোড়ানো ছিল। পরবর্তী সময়ে দুজন আবার এক হয়েছিলেন বার্সেলোনায়। সেখানেও এর রেশ কাটেনি। তবে ১৯৭৮ বিশ্বকাপের পরপর মেনোত্তির অধীনেই ম্যারাডোনা যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এবং শিরোপা জেতেন। মেনোত্তি ১৯৮২ পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। ম্যারাডোনা তাঁকে পেয়েছিলেন তাই ক্যারিয়ারের উঠতি সময়টাতেই। কোচ হিসেবে মেনোত্তির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার কমতি ছিল না। ২০১৪ বিশ্বকাপেও মেনোত্তিকে কোচ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে মেনোত্তিকে যখন ‘টিম ডিরেক্টর’ করা হয় তখন তাঁকে প্রাণখোলা অভিনন্দন জানাতেও ভোলেননি ম্যারাডোনা, বলেছিলেন ভালোবাসার কথাও, ‘৪৫ বছর আগে আর্জেন্টিনার ফুটবলটাকে তিনিই বদলে দিয়েছিলেন। তিনিই শিখিয়েছিলেন কিভাবে জার্মানদের মতো দৌড়াতে হয়, কিভাবে বল কাজে লাগাতে হয় ব্রাজিলিয়ানদের মতো। ‘এল ফ্লাকো’ তোমার জন্য অন্তর থেকে ভালোবাসা, সব সময় শুভ কামনা।’</p> <p style="text-align:justify; margin-bottom:13px">মেনোত্তি নিজেও পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ম্যারাডোনাকে ওই সময় (১৯৭৮ বিশ্বকাপে) দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল না। কিন্তু পরে আমরা বিশ্বকাপ জিতে যাওয়ায় এ নিয়ে আর কথা হয়নি।’</p> <p style="text-align:justify; margin-bottom:13px">১৯৮৬-তে পরে ম্যারাডোনা প্রায় একা হাতে সেই আর্জেন্টিনাকে আবারও শিরোপা জিতিয়েছেন। লিওনেল মেসি আলবিসেলেস্তেদের জিতিয়েছেন তৃতীয় ট্রফি। তবে বিশ্বকাপ কী করে জিততে হয় এটা প্রথম দেখিয়েছিলেন মেনোত্তিই। সিনহুয়ানেট</p>