<p>৮৫ বছর বয়সী বিধবা সালেহা খাতুন। স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে। চার ছেলে ও চার মেয়ের জননী সালেহা খাতুন। তবে সন্তানরা মায়ের খোঁজখবর রাখেন না। বয়সের ভারে ও নানা অসুখে ভুগছেন তিনি। কোনোমতে চলাফেরা করতে পারেন। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় তিনি চলেন। বুধবার বিকেলে ঈদ উপলক্ষে তাঁকে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তিনি মহা খুশিতে বলেন, ‘এই খাদ্যসামগ্রীতে ঈদের রান্নার দুশ্চিন্তা কাটল।’ এ সময় সবার জন্য তিনি দোয়া এবং মঙ্গল কামনা করেন।</p> <p>৬৫ বছর বয়সী রহিমা খাতুনের ছেলেসন্তান নেই। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। হৃদরোগসহ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তিনি। স্বামীর আয় দিয়ে ওষুধ কিনে কোনোমতে চলছে তাঁর পরিবার। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর কাজ নেই। অর্থের অভাবে মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে রান্নার চুলা জ্বলে না। এমন সময় ঈদ উপলক্ষে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তিনিও খুব খুশি। মাঝেমধ্যেই শুভসংঘের সহযোগিতা পান তিনি। তিনিও প্রাণভরে দোয়া করেন শুভসংঘের সকলের জন্য।</p> <p>সালেহা খাতুন ও রহিমা খাতুনের মতো আরো ২০ পরিবারকে বৃহস্পতিবার পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা শুভসংঘের উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। উপজেলার পাংগুরা ইউনিয়নের পাথরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২ পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, ময়দা, পোলোও চাল, সেমাই, চিনি ও তেল।</p> <p>শুভসংঘের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলাম নান্নুর নির্দেশনায় সাধারণ সম্পাদক শাকিব খান, সহসম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কলি রানী সূত্রধর, নারী বিষয়ক সম্পাদক রুমা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সদস্য আব্দুল মালেক মধুসহ অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।</p>