<article> <p>অসুস্থ বাবাকে ঘরে রেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী নিতে ছুটে এসেছে জিদান (১১)। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের (ক্যাম্পাস-৪) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া জিদানের বাবা কবির খান পেশায় দিনমজুর। গত কয়েক মাস হয়েছে অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। চিকিৎসক বলছেন, তাঁর দুটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।</p> </article> <article> <p>এত মন খারাপের মাঝেও এক চিলতে হাসি লেগে আছে শিশুটির মুখে। সে আজ স্কুলে এসে পোশাক, ব্যাগ, খাতা-কলম, জুতা, পেনসিলসহ যাবতীয় শিক্ষা সরঞ্জাম পেয়েছে। নতুন উপকরণ পেয়ে জিদানের সহপাঠীরাও খুশি। জিদান বলে, ‘স্যার, আমার বাবা অসুস্থ।</p> <p>স্কুল থেকে এসব বই, খাতা না দিলে কেনার মতো সুযোগ ছিল না। আমি ১২টি খাতা, চারটি পেনসিল, রাবার, স্কুলব্যাগ, জুতা ও ড্রেস পেয়েছি। আমার অনেক দিন চলে যাবে। আমি পড়ালেখা করে অনেক বড় হতে চাই। বাবার চিকিৎসা করতে চাই।’</p> </article> <article> <p>ছেলের সঙ্গে উপকরণ নিতে আসা ময়না বেগম বলেন, ‘কয়েক মাস যাবত ওর বাবার অসুস্থতার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে দুটি ছেলের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। আজ স্কুল থেকে অনেক জিনিস দিয়েছে। এখন আর ছেলেদের পড়াশোনার খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না।</p> </article> <article>’ বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষক হাবিবা বলেন, ‘জিদান আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। কয়েক মাস ধরে জিদানের বাবা অনেক অসুস্থ। বসুন্ধরার শিক্ষা উপকরণ পেয়ে শিশুটির পড়াশোনার খরচটা অন্তত মা-বাবার বেঁচে গেল।’ শুধু জিদানই নয়। এই চরের বেশির ভাগ পরিবার দরিদ্র, অসহায়। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে না পেরে শিশুদের কাজে পাঠিয়ে দিত তারা। তবে এখন স্কুলে নিয়মিত শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দেওয়ার ফলে অনেক অভিভাবক তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠান।</article>