<p>লক্ষ করে দেখবেন, পূর্ণিমার চাঁদ যখন দিগন্তরেখার খুব কাছাকাছি থাকে, তখন চাঁদটাকে বিশাল বড় দেখায়। বিশেষত পূর্ণিমা রাতে চন্দ্রোদয়ের সময় চাঁদের আকৃতি অনেক বড় মনে হয়। </p> <p>চাঁদ পৃথিবীকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। চাঁদের কক্ষপথটি উপবৃত্তাকার। এর ফলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব সব সময় সমান থাকে না। চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর সর্বনিম্ন দূরত্ব হলো, তিন লাখ তেষট্টি হাজার তিন শ কিলোমিটার। </p> <p>সর্বনিম্ন দূরত্বে পূর্ণিমার সময় যে চাঁদ দেখা যায়, তার নাম ‘সুপার মুন’। সুপার মুনের আকৃতি স্বাভাবিক চাঁদের চেয়ে বড়জোর ১৩ শতাংশ বড় হতে পারে। কিন্তু দিগন্তরেখার কাছে যখন পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায় সেটাকে আরো অনেক বেশি বড় বলে মনে হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, এটি আসলে একটি অপটিক্যাল ইল্যুশন বা দৃষ্টিবিভ্রম। </p> <p>চাঁদ যখন দিগন্তরেখার কাছাকাছি থাকে তখন আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটে। কারণ তখন শুধু আমরা চাঁদকেই দেখি না, বরং চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর গাছপালা, পাহাড়-পর্বত, দালানকোঠা ইত্যাদিও দেখি। সে জন্য আমাদের কাছে চাঁদকে তুলনামূলকভাবে বড় মনে হয়। </p> <p>কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর চাঁদ যখন আকাশের ওপরে উঠে যায়, তখন বিশাল আকাশের বুকে শুধু চাঁদকেই দেখা যায়, পাশাপাশি অন্যান্য কোনো পার্থিব বস্তুকে নয়। চাঁদ তখন তার স্বাভাবিক আকৃতিতে ফিরে আসে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন, মুন ইল্যুশন (Moon Illusion)। বাংলায় চন্দ্রবিভ্রম বলা যেতে পারে। </p> <p>পূর্ণিমার চাঁদের ছবি আমি প্রায়শই তুলি। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তুলি। তারপর ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি পূর্ণিমার চাঁদের আকৃতির আসলেই কোনো পরিবর্তন হয় না। তবে ছবিতে চাঁদকে যখন গাছপালা অথবা দালানকোঠার পেছনে দেখা যায়, তখন তাকে বিশাল বড় দেখায়। পারিপার্শ্বিকের কারণেই এমনটি মনে হয়। সবই আসলে আমাদের দেখার ভুল। </p> <p>দিগন্তরেখার কাছাকাছি চাঁদের বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। ছবিগুলো এখানে আবার শেয়ার করলাম। আপনারাই দেখে বলুন, এগুলো কী চন্দ্রবিভ্রম?<br />  </p>