<p>১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বর্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্মম নৃশংস হামলায় রাতের অন্ধকারে হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ২৫ মার্চ  উপলক্ষে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান করে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে। ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সঞ্চালনা করেন।  </p> <p>বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বুকে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম গণহত্যার একটি সংঘটিত করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। এত অল্প সময়ে এত মানুষ হত্যা করার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের হলোকস্টে প্রায় ৫ বছরে ৬ মিলিয়ন ইহুদি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।</p> <p>কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিহত মানুষের সংখ্যার আনুপাতিক হার হিসাব করলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা হলোকস্টকেও হার মানায়। শত শত বধ্যভূমি আর গণহত্যার শিকার লাখ লাখ পরিবারের সদস্যরা আজও তার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, মাত্র চার দশক আগে সারা বিশ্বের সম্মুখে সংঘটিত এই গণহত্যা আজও বিশ্বের ইতিহাসে স্থান পায়নি। গণহত্যা একটি-দুটি নয়, লাখ লাখ প্রাণের বিনাশ করে। </p> <p>সুতরাং, এর ভয়াবহতা সবচেয়ে বড়। তাই বারংবার এ নিয়ে কথা বলতে হবে, জানতে হবে, জানাতে হবে। বর্তমান দিনের সকল সমস্যার সঙ্গে গণহত্যা বন্ধের প্রচেষ্টা চালানো একটি সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা- যতদিন পর্যন্ত না গণহত্যা নামক ভয়াবহতা থেকে এই পৃথিবীর প্রতিটি জাতিকে, প্রতিটি অনাগত শিশুকে নিরাপদ রাখা যায়।</p> <p>অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মোতালেব ভূঁইয়া, হিল্লোল বড়ুয়া, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবদুল আল জাহিদ, ফাহমিদ আল মাহিদ, আহসান উজ্জামান ডেনমার্ক যুবলীগের আমির জীবন, ডেনমার্ক ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখার সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ। ঘাতক দালাল কমিটি ডেনমার্ক চ্যাপ্টার ও অংশগ্রহণ করে।</p>