<p>আদালতের পরোয়ানাভুক্ত মুজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রয়েছে। আজ শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।</p> <p>আজ সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে এ তথ্য দেন ধানমণ্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মুজিবুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা বা দুটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। আদালতের ওই ওয়ারেন্টর ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে, গ্রেপ্তার মুজিবুর রহমান প্লট দেওয়ার কথা বলে ধানমণ্ডি এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে তিন কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্লট বুঝিয়ে না দেওয়ায় ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত চাইতেই মুজিবুর রহমান উল্টো ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে টাকা পাবেন বলে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে মামলাটি ছিল মিথ্যা। যা পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে উঠে এসেছে। পরে এ মামলায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে সংস্থাটি।</p> <p>মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুজিবুর রহমান ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলায় যে অভিযোগ করেছেন, তদন্তে তা পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই অভিযোগটা সঠিক নয় বলে মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আর মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মোস্তাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।’</p> <p>পুলিশ সূত্র জানায়, মুজিবুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপসচিব, কখনো রাজউকের অথরাইজড অফিসারসহ নানা পরিচয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত। তিনি ছিলেন মূলত খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেইনম্যান। অপকর্মের কারণে তিনি চাকরিচ্যুত হন। মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার প্রতারণার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকও তদন্ত করছে।</p>