<p>এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। যা অতীতের যেকোনো উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।</p> <p>আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।</p> <p>মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের জন্য আগে যে পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল, সেটা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ আনসার সদস্য থাকবেন। যেসব কেন্দ্রে ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছনো হবে। এটা পৌঁছনোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছনোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।’</p> <p>এবার পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য বেশি থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। কাজেই ভোটও বেশি পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়। এজন্য এবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য ভোটকেন্দ্রে থাকবে।’</p> <p>জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছনো হবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর নেই। তারপরেও প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা সমন্বয় সেল হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯ এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর কারা তা দেখবে, তাও ট্র্যাকিং করা হবে।’</p>