<p>বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোজাদারের উপস্থিতিতে জাতীয় মসজিদে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) ১৮তম রোজায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এই সুন্দর পরিবেশই দেখা গেছে।</p> <p>বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী এই ইফতার বিতরণ হচ্ছে।</p> <p>সরেজমিনে দেখা গেছে, আসরের নামাজের পর থেকেই সারিবদ্ধভাবে মসজিদের বারান্দায় বসে পড়েন উপস্থিত মুসল্লিদের বেশিরভাগ। সন্ধ্যা ৬টা বাজার আগেই বারান্দা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেসরকারি চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ভবঘুরে, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের বারান্দায় ইফতারের জন্য বসে পড়েন। সারিবদ্ধভাবে বসানোর পরে ইফতার বিতরণ করা শুরু হয়। শুরুতে পানি পৌঁছে দিয়ে পরে দেওয়া হয় ইফতার।</p> <p>ইফতারের আগ মুহূর্তে উপস্থিত রোজাদাররা মোনাজাতে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করেন।</p> <p>দেখা যায়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক উপস্থিত থেকে রোজাদারদের মাঝে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। রোজাদাররা উৎসাহ এবং আনন্দঘন পরিবেশে ইফতারের সময়ের অপেক্ষা করছেন।</p> <p>শামীম তালুকদার নামে এক দোকান কর্মচারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি ইলেকট্রনিক দোকানে কাজ করি। ইফতারের সময় হলে এখানে চলে আসি। হাজার হাজার রোজাদারদের সাথে ইফতারে ভালো লাগে। অনেক রোজাদারদের উপস্থিতিতে উৎসবের মতো লাগে।’</p> <p>ইফতার বিতরণে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রব ভূঁইয়া কালু বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের বিতরণ করা ইফতারে মানুষের উপস্থিতি সবসময় থাকে। রাজধানীতে বিভিন্ন কাজে আসা অনেক মুসাফির এবং মসজিদের বাইরে থাকা মানুষদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকে। ৮/১০ রোজার পর থেকে তিন হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন।’</p> <p>মুসল্লি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘এ বছর তৃতীয়বারের মতো বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে। এখন তিন হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। প্রায় দিন বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘রোজাদারদের ইফতার করানো অনেক সওয়াবের কাজ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর একজন ইসলামপ্রিয় মানুষ। প্রতিনিয়ত তিনি ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। আমরা তার পাশে থাকার চেষ্টা করছি।’</p> <p>মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ‘বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রোজাদারদের ইফতারে যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছেন। পুরো রমজান মাসে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে। সব শ্রেণির মানুষ বসুন্ধরার ইফতার আয়োজনে উৎফুল্লভাবে অংশ নিচ্ছেন।’</p>