<p>দেশের বিভিন্ন নদীপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন নৌযান সমিতি ও সংগঠনের নেতারা। গতকাল বুধবার নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে তাঁরা এসব অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, নৌপথে যান চলাচলে কিছুদূর পর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা দিতে গিয়ে মুনাফার বড় অংশ চলে যায়। এর মধ্যে সিলেট থেকে ঢাকা নৌপথ পাড়ি দিতে একটি পণ্যবাহী বাল্কহেডকে ১৫টি স্পটে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা গুনতে হয়।</p> <p>রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে পুলিশ প্লাজায় নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে নৌযান সমিতি ও সংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ জানিয়ে দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন। পরে নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।</p> <p>বাংলাদেশ বাল্কহেড বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ তোফাজ্জল বাদল কালের কণ্ঠকে বলেন, একটি বাল্কহেড সিলেট থেকে ঢাকায় প্রতি ট্রিপে গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পায়। কিন্তু এই পথে এক ট্রিপে প্রতিটি বাল্কহেডকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। মোট ১৫টি স্পটে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয় চাঁদাবাজদের। বিআইডাব্লিউটিএ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন নামে চাঁদাবাজি করা হয়। এই স্পটগুলোর মধ্যে অর্ধেক সিলেটে।</p> <p>বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রী পারাপার) অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, চাঁদপুরের বেলতলী, ষাটনল, মনোহরপুর ও আকলাসপুরে চাঁদাবাজরা লঞ্চ থেকে চাঁদাবাজি করে। চারটি স্থানে বিআইডাব্লিউটিএ টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে।</p> <p>সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন বলেন, বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জুয়াড়িরা জোর করে লঞ্চে জুয়া খেলে। এ ছাড়া সদরঘাটে লঞ্চ থেকে চাঁদাবাজি হয় বলেও জানান তিনি।</p> <p>সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌ পুলিশের প্রধান আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, ‘নৌপথে সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশ সর্বদা সতর্ক রয়েছে। আমরা ডাকাত ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করছি। এখন থেকে সেভাবেই আমরা কাজ করব।’</p> <p><strong>ঈদে ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ</strong></p> <p>আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধরনের বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ। গতকাল দুপুরে পুলিশ প্লাজায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথের আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।</p>