<p style="text-align: justify;">ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত লীডারশীপ টু এনশিউর এডেকোয়েট নিউট্রিশন (লিন) প্রকল্প আজ ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং পরবর্তী শিক্ষা শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) হস্তক্ষেপ বাস্তবায়নের মূল্যবান শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সকলের সঙ্গে আলোচনা করা। </p> <p style="text-align: justify;">কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও একই বিভাগের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। </p> <p style="text-align: justify;">ডিডিএম-এর মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান তার বক্তৃতায় বলেন, “কমিউনিটি পর্যায়ে দুর্যোগের ধরন এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা যত বেশি বুঝতে পারি, ততই আমরা স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠতে পারি।” তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বাধা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। </p> <p style="text-align: justify;">নেতাই চন্দ্র দে সরকার বলেন, “দুর্যোগের সঙ্গে উন্নয়নের একটি আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো না গেলে একটি দেশের জাতীয় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।“ </p> <p style="text-align: justify;">অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জান্নাত নুর। তিনি লিন প্রকল্প এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে এর অবদান সম্পর্কে একটি উপস্থাপনাও দেন। </p> <p style="text-align: justify;">অন্য একটি উপস্থাপনায় ডিআরআর পরামর্শদাতারা পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপটের মূল অন্তর্দৃষ্টি সম্পর্কে শেয়ার করেছেন। এছাড়া নগদ-অনুদানের সুবিধাভোগীরা তাদের জীবনযাত্রায় এ হস্তক্ষেপের যেসব প্রভাব লক্ষ্য করেছেন সে অভিজ্ঞতাগুলি তুলে ধরেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্প্রদায়গোষ্ঠী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে এবং লিন প্রকল্পের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। </p> <p style="text-align: justify;">কর্মশালাটি পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অভিন্ন লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ স্টেকহোল্ডাদের মধ্যে সহযোগীতা এবং অভিজ্ঞতা এবং মতামত শেয়ারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা এই অঞ্চলের কমিউনিটিগুলির জন্য আরো স্থিতিস্থাপক এবং নিরাপদ ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য চলমান প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।  </p> <p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, লিন সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলার ১৮ টি উপজেলা থেকে ৭৭ টি ইউনিয়নে তাদের পুষ্টি প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।</p>