<p>নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির প্রধান সমন্বয়ক তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ।</p> <p>ঘটনার প্রায় ১১ মাস পর গতকাল শনিবার তদন্ত সংস্থা- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।</p> <p>ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গুলশান ও কল্যাণপুরের পর আজ (গতকাল) নারায়ণগঞ্জের নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তামিমসহ নিহত তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে গুলি ও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে।</p> <p>গত বছরের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকায় একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’। অভিযানের পর জানা যায়, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিযুক্ত তামিম চৌধুরী ছিল। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আসে। এরপর আত্মগোপনে থেকে নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করে সে।</p> <p>অন্য দুজনের একজন তাওসিফ হোসেন। সে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গি নিবরাস ইসলামের বন্ধু। নিবরাসের সঙ্গে একই দিন সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। দুজনে মালয়েশিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছে। তাওসিফের বাবা আজমল হোসেন একজন চিকিত্সক। রাজশাহীতে গ্রামের বাড়ি হলেও তাঁরা ঢাকার ধানমণ্ডিতে থাকেন।</p> <p>নিহত আরেক জঙ্গি ফজলে রাব্বি। সে যশোর এম এম কলেজের ছাত্র ছিল। তার বাড়িও ওই এলাকায়। সে নিহত হওয়ার পাঁচ মাস আগ থেকে নিখোঁজ ছিল।</p>