<p>লেজারের মাধ্যমে এখন হেয়ার রিমুভ্যালসহ নানা ধরনের চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এগুলোতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে কি না তা নিয়ে অনেকের মাঝেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বাস্তবে কি লেজার হেয়ার ট্রিটমেন্টে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।</p> <p>লেজার হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে একজন প্রশ্ন করেন, আমি লেজার হেয়ার রিমুভালের মাধ্যমে বাড়তি চুল ও পশম দূর করার চিন্তাভাবনা করছি। এতে কি ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে?</p> <p>লেজার চিকিৎসা বিষয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মার্কিন ডার্মাটোলজিস্ট ড. হুইটনি বোউই।<br /> তিনি জানান, লেজারের রশ্মি ক্যান্সার উদ্ভবের মতো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাই এর মাধ্যমে ত্বকে ক্যান্সারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অবশ্য এর প্রভাবে ত্বকে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, যা চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়।</p> <p>তিনি বলেন, ক্যান্সারের জন্য এক্সরে ও গামা রশ্মির বিকিরণ সবচেয়ে বিপজ্জনক। এগুলো নানা চিকিৎসাক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। আয়োনাইজড রেডিয়েশন দেহে প্রবেশ করে ডিএনএ সেল ধ্বংস করে এবং ক্যান্সারের কারণ হয়। তবে এ ঝুঁকি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এফডিএ) লেজার এনার্জিকে নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছে।</p> <p>লেজার থেকে হালকা এনার্জি বিচ্ছুরিত হয় হয়, যা ত্বক পর্যন্তই থেকে যায়। আর এ কারণে তা ডিএনএ ধ্বংস করার পর্যায়ে পৌঁছায় না। লেজার হেয়ার রিমুভ্যালে মূলত লেজার রশ্মি ব্যবহার করে চুলের গোড়াগুলোতে তাপ দেওয়া হয়। এতে চুলের মূল নষ্ট হয়।</p> <p>অনেক নারীই তাদের এ লেজার হেয়ার রিমুভ্যালে ক্যান্সারের ঝুঁকির আশঙ্কা করেন এবং এ কারণে সংবেদনশীল অঙ্গের আশপাশে লেজার হেয়ার রিমুভ্যাল থেকে বিরত থাকেন। যদিও এর বাড়তি কোনো ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। হালকা লেজার ব্যবহৃত হওয়ায় এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে না বলেই জানা গেছে।<br /> বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নয় বরং দেহের ত্বক ও ত্বকসংলগ্ন অংশেই এ লেজারের কার্যকারিতা থাকে।</p> <p>ক্যান্সারের ঝুঁকি না বাড়লেও ত্বকের ওপর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে রয়েছে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে দাগ হওয়া ও ত্বকের রং বদলে যাওয়া। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপযুক্ত চিকিৎসাও রয়েছে, যা খুব সহজেই পাওয়া যায়।</p>