ছোট শহরে সাধারণ কেরানি পরিবারে জন্মানোর সুবাদে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হতে হবে, আত্মীয় স্বজনের সেই প্রত্যাশার তাগিদেই বোধহয় ভাল করে কথা বলতে শেখার আগেই জেনে গিয়েছিলাম ‘একে চন্দ্র, দুইয়ে পক্ষ, তিনে নেত্র’। এও শিখেছিলাম ‘ন’য়ে নবগ্রহ’। পরে স্কুলে গিয়ে জানলাম, সেই ‘নবগ্রহে’র চারটি ‘গ্রহ’ আদতে গ্রহই নয়। একটি হল নক্ষত্র।
১৬টি গ্রহ ছিল সৌরমণ্ডলে! তারা সব গেলটা কোথায়?
কালের কণ্ঠ অনলাইন

আসলে দার্শনিক অ্যারিস্টটলের মতবাদের মতো হিন্দু শাস্ত্রেরও ধারণা ছিল, এই ব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীই সব। তাই পৃথিবীকে কোনও ‘গ্রহ’ হিসেবে ধরাও হত না।
কিন্তু তাতে ঝামেলা বাড়ল।
কিন্তু কী মুশকিল! মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই, ১৬৫৫ সালে হায়গেন্স সাহেব শনির চার পাশে একটি চাঁদ আবিষ্কার করে বসলেন। তার নাম দেওয়া হল ‘টাইটান’। চার বছর পর হায়গেন্স সাহেবই শনির চারটি বলয় আবিষ্কার করে ফেলেন। বিশ্বের অন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও চুপচাপ বসে ছিলেন না। মাত্র ২০ বছর পরেই ফ্রান্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যাসিনি শনির আরও ৪ টি চাঁদ আবিষ্কার করে ফেললেন। ফলে, ১৭০০ শতাব্দীর শেষে ‘গ্রহে’র সংখ্যা বেড়ে হল- ১৬।
১০০ বছরের মধ্যে ‘গ্রহে’র সংখ্যা ৬ থেকে হল ১৬! কিন্তু হায়গেন্স বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবী, বৃহস্পতি বা শনির চার পাশে ঘুরে চলা চাঁদগুলি মোটেই বাকি ৬টি বড় গ্রহের মতো নয়। তাই তিনি ওই দশটি চাঁদকে ‘উপগ্রহ’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন। ব্যস, এক লাফে ১৬ থেকে নেমে গ্রহের সংখ্যা আবার ৬ হয়ে গেল। প্রায় ১০০ বছর পরে, উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস আবিষ্কার করার সঙ্গে-সঙ্গেই গ্রহের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭। কোপারনিকাসের আগে দীর্ঘ দু’হাজার বছর ধরে যে সংখ্যাটি ছিল, সেখানেই ফিরল জ্যোতির্বিজ্ঞান। তত দিনে অষ্টাদশ শতাব্দী শেষ হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই কয়েকটি অসাধারণ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হ্যালির ধূমকেতু যে সময় আসার কথা ছিল, সেই সময় না এসে দেরিতে এসে পৌঁছালো। ইউরেনাসও কেপলারের দেওয়া তত্ত্ব ঠিকঠাক মেনে চলছিল না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনুমান করলেন, ইউরেনাস পেরিয়ে এমন কিছু একটা আছে, যার মাধ্যাকর্ষণই ওই সব বিপত্তি ঘটাচ্ছে!
স্বাভাবিক ভাবে, সকলেই আরও একটি বড়সড় গ্রহের কথা ভাবছিলেন। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেল। ১৮০১ সালে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মধ্যে আবিষ্কৃত হল- সেরেস। ঠিক পরের বছর সেরেসের কাছাকাছি হদিশ মিলল ‘পাল্লাসে’র। আর ‘পাল্লাসে’র আবিষ্কারের দু’বছর পরেই সন্ধান মিলল ‘জুনো’র। ফলে, চার বছরেই আবার গ্রহের সংখ্যা বেড়ে হল- ১০। তা দিনকয়েক পর আরও বেড়ে হল- ১১। কারণ, ঠিক দু’বছর পরেই ‘সেরেস’, ‘পাল্লাস’ আর ‘জুনো’র কাছাকাছি খুঁজে পাওয়া গেল আরও একটি ছোট ‘গ্রহ’- ‘ভেস্টা’। তাই আবার ‘গ্রহে’র সংখ্যা বেড়ে হল- ১১। ঠিক যেমনটি ছিল ১৬১০ থেকে ১৬৫৫ সাল পর্যন্ত।
তা হলে কি ‘গ্রহে’র সংখ্যা বেড়ে হল ১২? নেপচুন আবিষ্কারের পর এই নিয়ে শুরু হয়ে গেল জোর বিতর্ক। এরই মধ্যে সেরেসের আরেক ‘ভাই’- ‘আস্ত্রাকা’কে খুঁজে পাওয়া গেল। আর তাই নেপচুনকে নিয়ে ‘গ্রহে’র মোট সংখ্যা বেড়ে হল- ১৩। কিন্তু সেরেস আর তার ‘ভাই’রা ইউরেনাস ও নেপচুনের চেয়ে আকারে খুবই ছোট হওয়ায়, ১৮৪৭ সালে তাদের আর ‘গ্রহ’ না বলে, ‘গ্রহাণু’ (Asteroid) হিসেবে চিহ্নিত করা হল। তার ফলে ১৮৪৭ সাল থেকে গ্রহের সংখ্যা আবার কমে হল- ৮।
শেষমেশ ১৯৩০ সালে, নেপচুন আবিষ্কারের প্রায় এক শতাব্দী পরে সন্ধান মিলল সৌরজগতের আপাতত সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুটোর। সেই থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরা ‘ন’য়ে নবগ্রহ’ হয়েই ছিলাম। কিন্তু আবার শোরগোল ফেলে দিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইক ব্রাউন। প্লুটোর ‘গ্রহ-মর্যাদা’য় আঘাত দিয়ে। হই হই পড়ে গেল বিশ্বজুড়ে। সেই কাহিনী খুব মজার। সেই রসালো গল্পটা বলব পরের দফায়।
সূত্র: আনন্দবাজার
সম্পর্কিত খবর

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, গোপনে সমঝোতায় পৌঁছালেন জাকারবার্গ
অনলাইন ডেস্ক

ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় অবহেলার দায়ে দায়ের করা আট বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা নিয়ে গোপন সমঝোতায় পৌঁছেছেন মার্ক জাকারবার্গ ও মেটা প্ল্যাটফরমের বর্তমান ও সাবেক পরিচালকরা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার চ্যান্সারি কোর্টে মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে এ তথ্য জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সমঝোতার শর্তগুলো আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী স্যাম ক্লসিক জানিয়েছেন, সমঝোতায় পৌঁছাতে তাদের খুব বেশি সময় লাগেনি। ওই দিনই আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মেটার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ধনকুবের বিনিয়োগকারী মার্ক অ্যান্ড্রিসেনের।
এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গসহ বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে মোট ১১ জন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ফেসবুককে পাঁচ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে।
মামলার বিষয়ে মেটা কোনো মন্তব্য করেনি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও।
ডিজিটাল কনটেন্ট নেক্সটের প্রধান জেসন কিন মনে করেন, এই সমঝোতা হয়তো সংশ্লিষ্টদের কিছুটা স্বস্তি দেবে, কিন্তু জনস্বার্থে দায় স্বীকার করার সুযোগ হারাল।
মামলার পরবর্তী পর্যায়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল জাকারবার্গের (সোমবার) ও স্যান্ডবার্গের (বুধবার)। এ ছাড়া সাবেক বোর্ড সদস্য পিটার থিল ও রিড হেস্টিংসেরও সাক্ষ্য দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, মেটার পরিচালনা পর্ষদ ২০১২ সালের এফটিসি চুক্তির শর্ত মানা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি জাকারবার্গ ও স্যান্ডবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ফেসবুককে পরিকল্পিতভাবে একটি ‘অবৈধ তথ্য সংগ্রাহক প্ল্যাটফরমে’ পরিণত করেছেন।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয়। এরপরই এই কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে মামলার সূত্রপাত হয়।
গতকালের শুনানিতে বাদীপক্ষের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতিতে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। যদিও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালের চুক্তি ভেঙেছে কি না।
ফেসবুক জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর থেকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় তারা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষক জেসন কিন মনে করেন, ফেসবুক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডকে ‘খারাপ কিছু ব্যক্তির কাজ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পুরো প্রতিষ্ঠানটির নজরদারিমূলক ব্যাবসায়িক মডেলই ভেঙে পড়েছে এবং সেটি এখনো সংশোধিত হয়নি।
তার মতে, মামলাটি অব্যাহত থাকলে আদালতে হয়তো ফেসবুকের আসল চেহারাটা দেখা যেত—কিন্তু সেই সুযোগটা হারিয়ে গেল।

ব্রিস্টলে চালু যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার ‘ইসামবার্ড-এআই’
অনলাইন ডেস্ক

ব্রিস্টলে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো যুক্তরাজ্যের অত্যাধুনিক সুপার কম্পিউটার ‘ইসামবার্ড-এআই’। দেশটির প্রযুক্তিসচিব পিটার কাইল এটি চালু করেন সরকারের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।
এই কম্পিউটারটি কেমব্রিজের ‘ডন’ নামের আরেকটি সুপার কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যের পাবলিক এআই শক্তিকে আরো উন্নত করবে। এর লক্ষ্য—ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অপেক্ষমাণ তালিকা কমানো, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নতুন উপায় খোঁজা, ওষুধ উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা।
ইসামবার্ড-এআই ইতিমধ্যে জানুয়ারিতে একটি ওষুধ গবেষণা প্রকল্পে ব্যবহার শুরু হয়। এখন এটি সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ায় আরো অনেক সরকারি প্রকল্পে ব্যবহার করা যাবে। এই মেশিনে রয়েছে ৫,৪০০-এরও বেশি এনভিডিয়া গ্রেস হপার সুপারচিপ। এটি হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সরকারি অর্থায়নে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় এটি নির্মাণ করেছে।
পাশাপাশি স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসেও এআই উন্নয়নে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করা হবে। সরকার বলছে, ১০ লাখ শিক্ষার্থীকে এআই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে এবং আরো ৭৫ লাখ মানুষকে এটি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশ্বজুড়ে এআই প্রতিযোগিতার মধ্যে যুক্তরাজ্য নিজেকে শুধু ব্যবহারকারী নয়, বরং উদ্ভাবক হিসেবেও গড়ে তুলতে চাইছে।
সূত্র : বিবিসি

স্পেসএক্সের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে কাল
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বখ্যাত মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামীকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় আসছেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য হলেন আন্তর্জাতিক কৌশল ও সরকারি সম্পর্ক পরিচালক রিচার্ড গ্রিফিথস।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফরে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে স্টারলিংকের সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের দিকগুলো মূল্যায়ন করবে এবং সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে।
লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে আগত দলটি ব্যবসায়িক সম্ভাবনা যাচাই, নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় বাস্তবায়ন এবং গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দেখছে।
স্পেসএক্স ও স্টারলিংকের এই সফর বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আগামীকাল প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

তথ্য অধিকার নিয়ে নতুন অভিযোগের মুখে টিকটক
এএফপি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) বিধি-নিষেধ না মানার অভিযোগে অনলাইন গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট টিকটক ও আরো চীনা মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ করেছেন। বিধি-নিষেধ অনুযায়ী একজন ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে তা জানার অধিকার রাখেন। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে নি বলে জানিয়েছে অভিযোগকারীরা।
অস্ট্রিয়াভিত্তিক প্রখ্যাত গোপনীয়তা সংগঠন নোইব (নান অব ইওর বিজনেস) জানুয়ারিতেও এই তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ ছয়টি চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল।
নোইব জানিয়েছে, শেইন, টেমু ও শাওমি অভিযোগকারীদের বাড়তি তথ্য সরবরাহ করলেও টিকটক, আলিএক্সপ্রেস ও উইচ্যাট ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করেই চলেছে। টিকটকের বিরুদ্ধে গ্রিসে, আলিএক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে বেলজিয়ামে ও উইচ্যাটের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে তাদের ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে প্রক্রিয়া হচ্ছে তা জানানো ও জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়।
নোইব বলেছে, ‘এই তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে প্রক্রিয়া হচ্ছে সেই তথ্য প্রদানের অনুরোধ মানেনি। এতে করে ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের মৌলিক গোপনীয়তার অধিকার চর্চা ও তাদের ব্যক্তিগত ডেটা কিভাবে প্রক্রিয়া হচ্ছে তা জানার সুযোগ নেই। টিকটক অভিযোগকারীর তথ্যের শুধু কিছু অংশ এলোমেলো ভাবে সরবরাহ করেছে, যা বোঝা অসম্ভব।’
ইউরোপে তদন্ত শুরু হওয়ার পর গত সপ্তাহে বেইজিং দাবি করেছে, তারা কোনো প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ কিংবা সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়নি।
ব্যক্তিগত ডেটা চীনে পাঠানোর দায়ে গত মে মাসে আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশন টিকটককে ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল।
নোইব জিডিপিআর লঙ্ঘনের কারণে মেটা ও গুগলের মতো বহু মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে। তারা বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছে, ‘চীনা অ্যাপগুলো মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়েও খারাপ।’