বাজারে প্রচলিত নানা স্মার্টফোনের মধ্যে কোনটি সেরা, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। এ বিভ্রান্তি দূর করতে সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশ করেছে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ১৭ বিশ্বসেরা মডেলের নাম।
১৭. ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট
অতীতে বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন নির্মাতা হলেও এখন সে অবস্থা নেই ব্ল্যাকবেরির। তবে এবার ব্ল্যাকবেরি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি স্মার্টফোন নিয়ে তাদের বাজার ও হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের আশা করছে।
বিশ্বের সেরা ১৭টি স্মার্টফোনের র্যাংকিং দেখে নিন
কালের কণ্ঠ অনলাইন

মূল্য : আন্তর্জাতিক বাজারে এ ফোনটির আনলক ভার্সনের দাম প্রায় সাড়ে ৪৬ হাজার টাকা।
১৬. অ্যামাজন ফায়ার ফোন
অনলাইন বিক্রেতা অ্যামাজন ডট কমের প্রথম স্মার্টফোনটির থ্রিডি ইফেক্ট অনেকেরই খুব পছন্দ।
মূল্য : মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি এটি প্রায় ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
১৫. নোকিয়া লুমিয়া ৮৩০
এটি স্মার্টফোনের বাজার দখলের চেষ্টায় মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন নোকিয়ার আরেকটি চেষ্টা। উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোনটির ৫ ইঞ্চি স্বচ্ছ স্ক্রিন রয়েছে।
মূল্য : মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি এটি প্রায় ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
১৪. এইচটিসি ওয়ান এম৮ উইন্ডোজ
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনের দিক দিয়ে এটি অন্যতম সেরা। মেটাল বডি ও উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত এ ফোনটিতে রয়েছে কর্টানা নামে ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
মূল্য : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এটি প্রায় সাড়ে ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
১৩. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট এজ
গ্যালাক্সি নোট এজ অনেকটা গ্যালাক্সি নোট ৪-এর মতোই।
মূল্য : কমপক্ষে ৭৩ হাজার ৫২১ টাকা।
১২. আইফোন ৫এস
এক বছরের পুরনো মডেল হলেও আইফোন ৫এস এখনও ব্যবহারকারীদের অন্যতম পছন্দের ফোন। বিশেষ করে আপনার যদি বড় স্মার্টফোন পছন্দ না হয় তাহলে এটি চোখ বন্ধ করে কিনতে পারেন।
মূল্য : প্রতিষ্ঠানভেদে ৪২ হাজার টাকা থেকে শুরু।
১১. এলজি জি৩
এলজির অন্যতম সেরা স্মার্টফোন এই মডেলটিতে রয়েছে অত্যন্ত পরিষ্কার স্ক্রিন। সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটি অনেকটা ফ্যাবলেটের সঙ্গেও মিল রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের এ স্মার্টফোনটির পাওয়ার ও ভলিউমের বাটন রয়েছে পেছনে।
মূল্য : প্রায় ৪৬ হাজার টাকা।
১০. গুগল নেক্সাস ৫
গুগলের পরবর্তী মডেলের স্মার্টফোন নেক্সাস ৬ বাজারে এলেও গত বছরের মডেল নেক্সাস ৫ এখনও ব্যবহারকারীদের প্রিয়। এতে রয়েছে অরিজিনাল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। অর্থাৎ এতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এ স্মার্টফোনের অন্যতম দুর্বল দিক হলো ক্যামেরা।
মূল্য : প্রায় ২৭ হাজার টাকা।
৯. সনি এক্সপেরিয়া জেড৩
সনির ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনটি বাজারের অন্যতম সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এতে রয়েছে ঝকঝকে ৫.২ ইঞ্চি স্ক্রিন। এ ছাড়াও পানি নিরোধক বডি ও অসাধারণ ক্যামেরা রয়েছে এতে।
মূল্য : কমপক্ষে ৪৯ হাজার টাকা।
৮. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৫
স্যামসাংয়ের সর্বশেষ মডেলের ফোনটি এর আগের মডেলের চেয়ে অনেক উন্নত। এতে আগের মডেলের বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ফিচারও বাদ দেওয়া হয়েছে। এর স্ক্রিন দারুণ স্বচ্ছ। এতে রয়েছে অত্যন্ত উন্নতমানের ক্যামেরা। তবে স্মার্টফোনটির বডি প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় অনেকেরই এটি অপছন্দ।
৭. নেক্সাস ৬
গুগলের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন নেক্সাস ৬। এর ৫.৯ ইঞ্চি স্ক্রিন ও অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের দেবে স্মার্টফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা।
মূল্য : প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
৬. ওয়ানপ্লাস ওয়ান
সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে দারুণ সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সংমিশ্রণ। তবে চীনা এ নির্মাতার স্মার্টফোনটি আপনি ইচ্ছে করলেই কিনতে পারবেন না। এ ফোনটির সরবরাহ খুবই সীমিত। বর্তমানে এ ফোনটি ব্যবহার করেন এমন কোনো ব্যবহারকারীর আমন্ত্রণ পেলেই কেবল ফোনটি কিনতে পারবেন আপনি।
মূল্য : কমপক্ষে ২৩ হাজার টাকা।
৫. মটো এক্স
বিশ্বখ্যাত মটোরোলা কোম্পানির এই সেপ্টেম্বরে বাজারে ছাড়া স্মার্টফোনটি বাজারের অন্যতম সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। গুগলের নেক্সাস ফোনের মতোই এতে রয়েছে প্রায় অবিকৃত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। এর স্ক্রিন ৫.২ ইঞ্চি।
মূল্য : কমপক্ষে ৩৯ হাজার টাকা।
৪. এইচটিসি ওয়ান (এম৮)
এইচটিসির ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন এইচটিসি ওয়ান (এম৮) অনেক ব্যবহারকারীর দৃষ্টিতেই সেরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। এর ডিজাইন যেমন অসাধারণ তেমন মেটাল ডিজাইনের বডিও যথেষ্ট মজবুত। এতে রয়েছে ক্যামেরার সহযোগী একটি অতিরিক্ত সেন্সর। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী ছবির ফোকাস পরিবর্তন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
মূল্য : কমপক্ষে ৪২ হাজার টাকা।
৩. গ্যালাক্সি নোট ৪
স্যামসাং নির্মিত গ্যালাক্সি নোট তাদের সেরা স্মার্টফোন। ৫.৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের ফোনটিতে রয়েছে সবচেয়ে স্বচ্ছ স্ক্রিন। এর কিনারগুলো নির্মিত হয়েছে ধাতব পদার্থ ব্যবহার করে। ফলে আগের ভার্সনের তুলনায় এটি ব্যবহারকারীদের স্বস্তি দেয়। ফ্যাবলেটের আকারে কোনো স্মার্টফোন কিনতে চাইলে এর জুড়ি নেই।
মূল্য : কমপক্ষে ৫৮ হাজার টাকা।
২. আইফোন সিক্স প্লাস
আপনি যদি অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ও ফ্যাবলেট একত্রে কিনতে চান তাহলে এর জুড়ি নেই। অন্য ফ্যাবলেটের তুলনায় এর ধাতব বডি ব্যবহারকারীদের অনেকখানি স্বস্তি দেয়।
মূল্য : কমপক্ষে ৫৮ হাজার টাকা।
১. আইফোন ৬
অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন বাদ দিলে বাজারের সেরা স্মার্টফোন হিসেবে আইফোন সিক্সকেই ধরতে হবে। এর ডিজাইন, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের অনবদ্য সমন্বয় ব্যবহারকারীদের পছন্দে সেরা স্মার্টফোন হতে সাহায্য করেছে। এতে রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চি স্ক্রিন, যা আগের ভার্সনের তুলনায় বড়। এ ছাড়াও অসংখ্য অ্যাপ রয়েছে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ মেটানোর জন্য।
মূল্য : কমপক্ষে ৫০ হাজার ৪৯২ টাকা।
সম্পর্কিত খবর

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ, কারা পাবেন এই সুবিধা
অনলাইন ডেস্ক

বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে গুগল। আর এই পরিকল্পনার কথা শুনে চমকে উঠবেন সব ব্যবহারকারী। সম্প্রতি বাজারে লঞ্চ করেছে গুগল পিক্সেল ১০ সিরিজের স্মার্টফোন। এই ফোনে এবার অনেক বড় আপগ্রেড দেখা যাচ্ছে।
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ। মূলত স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সহায়তায় এই ফোনে কাজ হবে বলেই জানিয়েছে গুগল। অর্থাৎ মোবাইল সিগন্যাল বা ওয়াইফাই সংযোগ না থাকলেও আপনি হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে পারবেন।
কবে থেকে চালু হবে নতুন এই ফিচার
অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে গুগল জানিয়েছে, স্যাটেলাইটভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ কলিং ফিচার্সটি ২৮ আগস্ট থেকে পাওয়া যাবে। একই দিন পিক্সেল ১০ সিরিজের ফোনগুলো প্রথমবারের মতো বাজারে বিক্রি শুরু হবে বলেও জানিয়েছে গুগল। এই গুগল পিক্সেলের ফোনে এই ফিচার্সটি সক্রিয় করার পর ফোনের স্ট্যাটাস বারে একটি স্যাটেলাইট আইকন প্রদর্শিত হবে। যা নির্দেশ করবে যে কলটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
কী কী শর্ত রয়েছে
গুগলের মতে, হোয়াটসঅ্যাপে স্যাটেলাইট কলিং বর্তমানে শুধু নির্বাচিত কিছু নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ারের সঙ্গে কাজ করবে। এ ছাড়া এই ফিচার্সটি ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত চার্জও ধার্য করা হতে পারে। তবে এই পিক্সেল ১০ সিরিজের ফোনে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কলিং সুবিধা পাওয়া যাবে, নাকি মেসেজিং সম্ভব হবে, তা এখনো স্পষ্ট করে জানায়নি সংস্থাটি।
অ্যাপলের ওপর গুগলের অগ্রাধিকার
অ্যাপল ইতিমধ্যেই তার আইফোনগুলোতে স্যাটেলাইট ফিচার্স অফার করেছে। তবে এটি কেবল জরুরি টেক্সট মেসেজ পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সূত্র : এবিপি লাইভ

প্লাস্টিক, মেটাল, গ্লাস—স্মার্টফোনের ব্যাক প্যানেলে কোনটির কী সুবিধা
অনলাইন ডেস্ক

স্মার্টফোনের পেছনের প্যানেল প্রায় সব কম্পানিই গ্লাস বা কাচ দিয়ে তৈরি করছে। ফলে শখের স্মার্টফোন একবার হাত থেকে পড়ে গেলেই সর্বনাশ! চোখের নিমেষে ফেটে চৌচির হতে পারে সেই কাচ। আর এটি সারাতেও খরচ হয় মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয় গ্রাহককে। আর তাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেরই প্রশ্ন, পেছনের অংশটি কাচ দিয়ে তৈরি হয় কেন।
ফোন নির্মাণকারী কম্পানিগুলো অবশ্য ব্যাক প্যানেলে কাচ লাগানোর নেপথ্যে দ্বিমুখী যুক্তি দিয়ে থাকে। প্রথমত, এতে আরো ‘স্মার্ট লুক’ পায় ফোন। দ্বিতীয়ত, গ্লাস বা কাচের ব্যাক প্যানেলের জন্যেই ওয়্যারলেস (তারবিহীন) চার্জিংয়ের সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক। সেই কারণেই ঝুঁকি জেনেও স্মার্টফোনের ব্যাক প্যানেলে কাচ লাগাচ্ছেন তারা।
প্রথম দিকে স্মার্টফোনের পেছনের অংশটা তৈরি হতো অ্যালুমিনিয়াম বা বিভিন্ন ধরনের ধাতু দিয়ে। এর অনেকগুলো সমস্যা ব্যবহারকারীদের চোখে পড়ে। এসব ধাতুর কারণে ফোন দ্রুত গরম হয়ে যেত। তা ছাড়া অনেক সময় নেটওয়ার্কের সমস্যাতেও ভুগতেন গ্রাহক, যার জেরে বর্তমানে মেটাল ব্যাক প্যানেল যুক্ত স্মার্টফোন নির্মাণ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাণকারী কম্পানিগুলো।
ফোনের ব্যাক প্যানেল কাচের হওয়ার আরো একটা অসুবিধা রয়েছে। এতে মুঠোবন্দি ডিভাইসের ওজন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর তাই বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, ব্যাক প্যানেলে প্লাস্টিক থাকা সবচেয়ে ভালো। এতে এক দিকে যেমন ফোনের ওজন কমবে, অন্যদিকে তেমন দামের দিক থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন গ্রাহকরা।
তবে ব্যাক প্যানেল প্লাস্টিকের হলে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা পাবেন না ব্যবহারকারী।
সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম

মোবাইলের ডায়াল প্যাডে পরিবর্তনের পেছনের কারণ
অনলাইন ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মোবাইল ব্যবহারকারী লক্ষ্য করেছেন, ফোনের ডায়াল প্যাডে হঠাৎ করেই নতুন ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত বা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কোনো ত্রুটি নয়— বরং গুগলের নতুন ইন্টারফেস আপডেটেরই অংশ।
গুগল সম্প্রতি ‘মেটেরিয়াল থ্রি এক্সপ্রেসিভ ডিজাইন চালু করেছে, যা ফোন অ্যাপ ছাড়াও গুগল কন্টাক্টস ও মেসেজেস অ্যাপে প্রয়োগ করা হয়েছে।
যেসব ব্যবহারকারীর ফোনে অটো-আপডেট চালু রয়েছে বা যারা নতুন ডিভাইস ব্যবহার করছেন, তারাই প্রথমে এই পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন।
আগের ডিজাইনে ফিরে যেতে চাইলে কী করবেন?
যদিও নতুন ডিজাইনটি বেশ আধুনিক, তবু কেউ যদি পুরোনো ইন্টারফেসে ফিরে যেতে চান, তবে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
• অ্যাপ আপডেট আনইনস্টল করা : গুগল ফোন অ্যাপের সর্বশেষ আপডেটটি সরিয়ে ফেললে অনেক সময় পুরোনো ডিজাইন ফিরে আসে।
• অ্যাপ ক্যাশ ও ডেটা ক্লিয়ার করা : ফোনের সেটিংস থেকে অ্যাপটির স্টোরেজ ডেটা সাফ করে দেওয়া যেতে পারে।
• ফোন রিস্টার্ট দেওয়া : মাঝে মাঝে সাময়িক সমস্যা রিস্টার্টেই ঠিক হয়ে যায়।
• সিস্টেম আপডেটের বিষয়ে সচেতন থাকা: অটো-আপডেট বন্ধ রেখে ইচ্ছেমতো আপডেট দিলে আকস্মিক পরিবর্তন এড়ানো সম্ভব।
• বিকল্প ডায়ালার অ্যাপ ব্যবহার করা: গুগল প্লে স্টোরে অনেক ক্লাসিক ডিজাইনের ডায়ালার অ্যাপ পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন ডিজাইন ধীরে ধীরে ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

গুগলের সঙ্গে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি মেটার
এএফপি

গুগলের সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং খাতে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের একটি চুক্তি করেছে মেটা। যা ছয় বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে লেনদেনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বৃহস্পতিবার এএফপিকে জানিয়েছে।
সূত্রটি টেক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনফরমেশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী মেটা গুগলের ডেটা সেন্টারের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং ও অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহার করবে।
মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) ব্যাপক বিনিয়োগের পথে হাঁটছেন। তিনি ওপেনএআই ও অ্যাপলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের মোটা অঙ্কের বেতনে নিজের দলে টানছেন। জাকারবার্গ এমন একটি দল গঠন করছেন, যা তার ভাষায় ‘এআই সুপার ইনটেলিজেন্স’ অর্জনের পথে কাজ করবে।
গত মাসের শেষের দিকে একটি আর্থিক প্রতিবেদনবিষয়ক আলোচনায় জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি বিশ্বের সবার জন্য ব্যক্তিগত সুপার ইন্টেলিজেন্স তৈরি করতে উদগ্রীব হয়ে আছি।’
এআই খাতে বিশাল বিনিয়োগের কারণে মেটা এখন অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তিটি গুগলের ক্লাউড ইউনিটের ১৭ বছরের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম চুক্তি। গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট জানায়, চলতি বছর তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা থেকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেটাও দ্বিতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে এবং এআই অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য তাদের মূলধন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে ১৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড় করিয়েছে। মেটার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে তাদের মোট মূলধন ব্যয় ৬৬ বিলিয়ন থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে থাকবে।
এদিকে ই-মার্কেটার বিশ্লেষক মিন্ডা স্মাইলি জানিয়েছেন, মেটা যদিও ভালো প্রান্তিক ফলাফল দেখিয়েছে, তবু কম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেমে যাবে না। কারণ তারা এখন এআই দৌড়ে টিকে থাকতে তীব্র চেষ্টায় আছে।
মেটার এআই কৌশল তুলে ধরে এক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, চলতি দশকের বাকি সময়টা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের জন্য একটি যুগান্তকারী সময় হবে।