<p>গতকাল ছিল বলিউডের কিংবদন্তী সিনেমা নির্মাতা যশ চোপড়ার জন্মবার্ষিকী। ১৯৩২ সালে জন্ম নেওয়া এই সম্মানিত সিনেমা নির্মাতা তার রোমান্টিক সিনেমাগুলোর মাধ্যমে আমাদেরকে মোহিত করেছেন। এবং ভারতীয় প্রেম কাহিনীগুলোকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেছেন। যার ফলে তিনি বিশ্বব্যাপী ভারতীয় দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয়পাত্রেও পরিণত হয়েছেন।<br /> তিনি অসংখ্য ব্লকবাস্টার হিট সিনেমার প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দশকের পর দশক ধরে আমাদেরকে বিমুগ্ধকারী প্রেমিক, শিফন শাড়ি এবং তুষারাবৃত সুইস পর্বতমালার আবেশে মোহাবিষ্ট করে রেখেছেন।<br /> কাব্যিক, জীবনের-চেয়েও-বড় এবং অবিস্মরণীয় গল্প- এই গুনাগুনগুলোই যশ চোপড়ার সিনেমার উত্তরাধীকার। যশ চোপড়ার সেরা পাঁচ সিনেমা:<br /> ১. দিওয়ার<br /> মারপিটের দৃশ্যে ভরপুর অপরাধ নাট্যধর্মী এই সিনেমাটি অমিতাভ বচ্চনকে বলিউডের “রাগান্বিত তরুণ” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। আর আমাদেরকেও সর্বকালের সবচেয়ে স্মরণীয় সিনেমা সংলাপগুলো উপহার দেয়। যশ চোপড়ার দিওয়ার এমনকি আজও একটি মহা সিনেমা হিসেবে গণ্য হয়।<br /> ২. কালা পাত্থর<br /> এই সিনেমাটির কাহিনী গড়ে উঠেছে চাসনালা খনির বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে। এতে অভিনয় করেছেন, অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা, রাখি, নীতু সিং এবং পারভিন ববি। কয়লা খনি শ্রমিকদের নিত্যদিনের দুঃখ-দুর্দশা এবং তারা প্রতিদিন যেসব বিপদের মুখোমুখি হন সেসবের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনেমায়। অসাধারণ একটি গল্পের এই সিনেমাতে অমিতাভ বচ্চন তার জীবনের সেরা অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।<br /> ৩. কাভি কাভি<br /> এই সিনেমায় শশী কাপুরের সঙ্গে বিয়ের আগে কবি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রাখির বিয়েপূর্ব প্রেমের সম্পর্কের গল্প চিত্রায়িত করা হয়েছে। সিনেমাটি এর গল্পের কারণেই অনন্য। কারণ এতে অসাধারণ সব কোমল মানবিক সম্পর্কের চিত্রায়ন করা হয়েছে। আর এতে পুরোনো অনুরাগের পাত্ররাও বন্ধু হিসেবে পুনর্মিলিত হয়েছেন। যখন তাদের সন্তানরা অবশেষে পরস্পরের প্রেমে পড়েছেন। সিনেমাটিতেই প্রথমবারের মতো অমিতাভ বচ্চন এবং শশী কাপুর ধুসর রঙের পাকা চুলে রুপালি পর্দায় হাজির হয়েছেন।<br /> ৪. সিলসিলা<br /> ব্যক্তিগত বিবাদ সত্ত্বেও বলিউডের শীর্ষ তিন তারকাকে এক মঞ্চে হাজির করার ক্ষমতা যশ চোপড়া ছাড় আর কার আছে? অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, রেখা এবং সঞ্জীব কুমার অভিনীত এই সিনেমার কাহিনী প্রায়ই বাস্তবের কাছাকাছি। এতে অমিতাভ, জয়া এবং রেখার মধ্যকার একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী চিত্রায়িত করা হয়েছে। সেসময় ওই তিনজন বাস্তব জীবনেও একই অবস্থায় ছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। সিনেমাটি একটি বিশেষ কাল্ট ক্ল্যাসিক সিনেমা হিসেবে গণ্য হয়। আজও টেলিভিশনে প্রচারের সময় সিনেমাটি ধর্মীয় আসক্তি সহকারে দেখে থাকেন দর্শকরা।<br /> ৫. চাঁদনি<br /> এই সিনেমার মাধ্যমে শ্রীদেবি সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে রুপালি পর্দায় নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এমনকি ঋষি কাপুরের পড়ন্ত ক্যারিয়ারও এর মাধ্যমে ফের চাঙ্গা হয়। নির্মাতা হিসেবে যশ চোপড়ার ক্যারিয়ারেরও মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই সিনেমা। যশ চোপড়ার ক্যারিয়ারেরও পুণরুত্থাণ ঘটে এই সিনেমার মাধ্যমে।<br /> চাঁদনি সিনেমাটি মূলত এর অসাধারণ দৃশ্যাবলীর জন্য জনপ্রিয় হয়েছে। এতে ঋষি কাপুর ও শ্রীদেবির মধ্যকার অবিস্মরণীয় কচকচে প্রেম রসায়নের গল্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈচিত্রপূর্ণ সব লোকশনে চিত্রায়িত হয়েছে। সিনেমাটি ১৯৮৯ সালে সেরা জনপ্রিয় সিনেমা ক্যাটেগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভুষিত হয়। আর যশ চোপড়ার ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমাগুলোরও একটি এটি।<br /> সূত্র: ম্যানস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া</p>