<p style="text-align: justify;">কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আমুয়ায় চুরির অপবাদে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে আবদুল আউয়াল ও সামছুল হক নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর শিশুদের ট্রাকের নিচে চাপা দিতেও চেয়েছেন তারা। নির্যাতনের ঘটনায় এক মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি গত ৫ মে হলেও গতকাল বুধবার দুপুরে জানাজানি হয়। </p> <p style="text-align: justify;">ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি শিশুকে হাত বেঁধে পাকা সড়কে বসিয়ে রাখা হয়েছে। লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আউয়াল ও আমুয়া গ্রামের মৃত মহরম আলীর ছেলে সামছুল হক বাঁশের তৈরি বেত হাতে আটক শিশুদের চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং বেত্রাঘাত করছেন। এক পর্যায়ে ওই সড়ক দিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় নির্যাতনকারীরা শিশুদের ট্রাকের নিচে চাপা দেওয়ার কথা বলেন। তখন শিশুরা ট্রাক থেকে দূরে সরতে চাইলে ইউপি সদস্য আবদুল আউয়াল শিশু সামিরকে পায়ে ধরে জোর করে টেনে নিয়ে ট্রাকের সামনে শুইয়ে দেন।</p> <p style="text-align: justify;">বুধবার (৮ মে) দুপুরে শিশু ইব্রাহিম খলিল সামিরের মাতা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে এ ঘটনায় শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত সামছুল হককে গ্রেপ্তার করেছে।</p> <p style="text-align: justify;">অভিযোগের বিষয়ে নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সামির কিছুটা প্রতিবন্ধীর মতো। তারপরও চুরির অপবাদ দিয়ে আউয়াল মেম্বার, সামছুল হক ও তার ছেলে শান্ত আমার ছেলেকে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আমি তাদের শাস্তি চাই।</p> <p style="text-align: justify;">অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার আবদুল আউয়াল নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, শিশুদের একজন আমার ভাগিনা, অন্যজন ভাতিজা। সে কারণে আমি শাসন করেছি। তবে ট্রাকের নিচে চাপা দেওয়ার বিষয়টি শিশুদের ভয় দেখাতে করেছি, মারতে নয়।</p> <p style="text-align: justify;">লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহমুজ বুধবার রাতে বলেন, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে সামছুল হক নামের একজনকে আটক করেছি। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।<br />  </p>