<p style="text-align: justify;">সিদ্ধিরগঞ্জে নাশকতার মামলার আসামি ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা। তিনি একটি পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। গত মাসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনটি করলে সেটি তদন্তের জন্য সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়।</p> <p style="text-align: justify;">পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সেটি তদন্তের জন্য থানা–পুলিশের কাছে পাঠালে গত সপ্তাহে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। </p> <p style="text-align: justify;">মহিউদ্দিন মোল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও তিনি ছিলেন বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের অর্থের জোগান দাতা। নাশকতা, সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে দুইটি মামলা। সে এ দুইটি মামলার এজহারভূক্ত আসামি। এছাড়াও এলাকায় মহিউদ্দিন মোল্লা ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তবে সে এখন নিজেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের নেতা বলে পরিচয় দেন।</p> <p style="text-align: justify;">গত ৭ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আলমগীর হোসেন। তিনি দাবি করেন, তাদের জমি দখল করার জন্য মহিউদ্দিন মোল্লা গংরা তার স্ত্রীকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। তাতক্ষনিক ৯৯৯ ও থানা পুলিশকে ফোন করেও আমরা কোনো ন্যায় বিচার পাইনি। এসম মারধর করাসহ হত্যার ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">এতে ব্যার্থ হয়ে আলমগীর হোসেনের হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয় মহিউদ্দিন গংরা। পরে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানান আলমগীর হোসেন।</p> <p style="text-align: justify;">মহিউদ্দিন মোল্লার অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের খবরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেও মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, যদি কেউ অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে সংশ্লিষ্ট থানা ও ডিএসবি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা বিষয়টি বিবেচনা করে খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিবে। তবে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা থাকলে তাকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।</p>