<p>যশোরের শার্শায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শার্শা থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।</p> <p>সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে আটক তিনজনকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামিরা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।</p> <p>সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।</p> <p>আটকৃতরা হলেন- শার্শা উপজেলার শরিফুল ইসলাম, মোরশেদ আলম শান্ত ওরফে ইমদাদুল ও রিফাদ হোসেন।</p> <p>পিবিআইয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, শার্শা গ্রামের এক নারী যশোর পিবিআই কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী একজন ট্রাকচালক। মাসের বেশির ভাগ দিন তিনি বাইরে থাকেন। এই সুযোগে তার দেবর সম্পর্কের ইমরান হোসেন তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে গত ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে ইমরান ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অন্য আসামিরাও ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর আসামিদের কাছে থাকা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে ওই নারী যশোর পিবিআই অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রবিবার রাতে শার্শায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে পিবিআই।</p> <p>ওই তিনজনকে আটকের পর ভুক্তভোগী নারী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন।</p> <p>এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রতন মিয়া আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করেন। তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকা এবং তাদের সহযোগী অন্যদের নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। </p>