<p>রাজশাহীর মুশিদপুরে পদ্মা নদীর ঘাটে গোসল করতে গিয়ে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় আরো দুই শিশু আহত হয়েছে।</p> <p>আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাঘা এলাকার মুশিদপুর খেয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সিয়াম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।</p> <p>জানা যায়, মুশিদপুর পদ্মার ঘাটে উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ছেলে সজিব হোসেন (১০), সুজন আলী (৮) ও আব্দুল টুকুর ছেলে লামিন হোসেন (৭) সকাল থেকে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা পাশের পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। ওই সময় নদীর ঘাটে কেউ ছিল না। এ সময় মুশিদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান খেয়া ঘাটের রাস্তার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় এক শিশুর বাচাঁও বাচাঁও চিৎকার শুনে নদীর পাড়ে এসে তিনি সুজন আলী ও লামিন হোসেনকে পানি থেকে উদ্ধার করেন। তখন সুজন আলী বলেন, আমার বড় ভাই সজিব পানিতে ডুবে আছে। হাফিজুল সজিব হোসেনকে খোঁজ করতে থাকে। পরে গ্রামের আরো ১০-১৫ জনের সহযোগিতায় প্রায় ৩০ মিনিট খোঁজ করে সজিব হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p>এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু জাহিদ বলেন, নিখোঁজ তিন শিশু বাড়ির পাশে খেলাধুলা করতে করতে মুশিদপুর খেয়া ঘাটে গোলল করতে যায়। তারা কেউ সাঁতার জানত না। এলাকার লোকজন নিয়ে সজিবসহ তিন শিশুকে নদীর পানি থেকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।</p> <p>বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক সিয়াম হোসেন বলেন, সজিব হোসেন পানিতে ডুবে আগে মারা গেছে। সুজন আলী ও লামিন হোসেনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার দুজন আশঙ্কা মুক্ত।</p> <p>বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে উদ্ধার সজিবের মরদেহ তার পরিবারের কাছ হস্থান্তর করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p><br />  </p>