<p>শেরপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলার বাদীকে চাপ দিয়ে আপস-মীমাংসা করার অভিযোগে পাঁচ ঘণ্টা হাজত খেটেছেন এক সাবেক ইউপি সদস্যসহ দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেরপুরে নালিতাবাড়ী জিআর আমলি আদালতে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>হাজতবাস করা ব্যক্তিরা হলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের কোন্নগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফজলুর রহমান (৪৫) ও ইক গ্রামের বাবুল আকতার (৪৮)। এরপর তাঁদের আদালতের গারদখানায় নিয়ে আটক রাখা হয়। </p> <p>আদালত সূত্র জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোন্নগর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের পঞ্চম শ্রেণির মাতৃহীন শিশুকে (১২) ধর্ষণ করেন স্থানীয় তারা মিয়া (৩৫)। ওই ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা করলে তারা মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয় জেলা দায়রা জজ আদালতে।</p> <p>ওই অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ও সমাজপতি বাবুল আকতার আসামির পক্ষ নিয়ে বাদীপক্ষকে চাপ দিয়ে মামলায় আপস-মীমাংসা করে বাদীর এফিডেভিট আদায় করে নেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা নিম্ন আদালতে বাদীকে দাঁড় করিয়ে আসামির জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নাকচ করে বাদীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মো. ফজলুর রহমান ও বাবুল আকতার তাঁদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন। এ সময় বিচারক তাঁদেরকে হাজতখানায় আটক রাখার নির্দেশ দেন। পরে তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে কৃতকর্মের দায় স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করে এফিডেভিট দাখিল করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-জাহিদ মুচলেকা গ্রহণ সাপেক্ষে তাঁদের মুক্তির আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর আলাউদ্দিন।</p>