<p>সারা দেশেরে মতো ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জেও পালিত হয়েছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা। এই মেলায় অনেক স্টলের মধ্যে চোখে পড়েছে সাদা ও বাদামি রঙের বিশালদেহী একটি ছাগল। সকাল থেকে দিনভর এই মেলা চললে খবর পেয়ে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন এই ছাগল দেখতে। সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার ছাগলটির দাম হাঁকা হচ্ছে এক লাখ টাকা। তবে মেলাতেই ৮০ হাজার টাকা দাম হলেও মালিক ছাড়ছেন না। অপেক্ষায় থাকবেন আসছে কোরবানি ঈদে হাটে ওঠানোর জন্য। আদর করে মালিক ছাগলটির নাম দিয়েছেন ‘ঝুন্টু’।</p> <p>উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ  সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা করা হয়। ৩৬টি স্টলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মো. আলাল উদ্দিনের নিয়ে আসা  উন্নত জাতের একটি ছাগলের স্টল। তাঁর বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউড়ি গ্রামে। তিনি জানান, তিন বছর আগে প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে আনুমানিক আট মাস বয়সের এই ছাগলটি ক্রয় করেন ৯ হাজার টাকা দিয়ে। যমুনা পাড়ি জাতের এই ছাগলটিকে তিনি যত্ন সহকারে লালন-পালন করেন। আদর করে নাম দেন ঝন্টু। প্রায় দুই বছর লালন-পালন করে আসছেন। এই ছাগলের সাথে আলাল উদ্দিনের খামারে আরো ছাগল রয়েছে। তবে তিনি ঝন্টুর প্রতি বেশি খেয়াল রাখেন। </p> <p>তিনি জানান, ছাগলটিকে প্রতিদিন এক কেজি ভুষি ছাড়াও নানা ধরনের খাদ্য দিয়ে থাকেন। তার মধ্যে ভাত ও ঘাস রয়েছে। বর্তমানে ছাগলটির ওজন হবে কমপক্ষে ৯০ কেজি। এ জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ৮০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। </p> <p>আলাল উদ্দিনের নিজ গ্রাম নাউড়ির বেশ কয়েকজন জানান, গরু-ছাগল লালন-পালন করেই আলাল উদ্দিন এখন দিন পাল্টাচ্ছেন। চাকরি করার সুযোগ থাকলেও তিনি তা না করে ছোটবেলা থেকেই গরু-ছাগল লালন-পালন করে তা বিক্রি করে সচ্ছলতা বাড়াচ্ছেন।</p> <p>এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, যমুনা পাড়ি জাতের ছাগলের শরীরের গঠন সাধারণ লম্বাটে হয়। অনেকে খামারে এ ধরনের লাভজনক ছাগল লালন-পালন শুরু করেছেন। তবে আলাল উদ্দিন তাঁদের মধ্যে ব্যতিক্রম।</p>