<article> <p style="text-align: justify;">ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার স্বার্থে বাতি প্রয়োজন থাকলেও আর্থিক দিক বিবেচনায় তাতে অনীহা রয়েছে পৌরসভার। অথচ প্রয়োজন না থাকলেও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে শহরের কুমারশীল মোড়ে ২৫ লাখ টাকার ঘড়ি বসিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ঘড়িটির দাম শুনে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছে। প্রশ্ন তুলেছে এর সৌন্দর্য নিয়েও।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><img alt="ঘড়ি" height="117" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/03.March/22-03-2024/mk/kk-11-2024-03-22-01a.jpg" width="300" />এদিকে উড়ালসড়কে বাতি জ্বালানো নিয়ে পৌরসভা এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে চলছে রশি টানাটানি। সওজ চাইছে বাতিগুলো পৌরসভাকে বুঝিয়ে দিতে। অন্যদিকে এটি তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পৌরসভা।</p> <p style="text-align: justify;">নাগরিকদের অভিযোগ, পৌর এলাকায় সড়কগুলোর নাজুক অবস্থা, ফুটপাত দখল, বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে নাগরিক জীবনে ভোগান্তি চরমে, অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ কুমারশীল মোড়ে এমন একটি ঘড়ি স্থাপন বসিয়েছে যার মূল্য রীতিমতো বিস্ময়কর।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক ধরনের বিশেষ ধাতুর কারুকাজ খচিত তিনটি পিলার ও ইলেকট্রনিক দুটি ঘড়ির এমন মূল্য নিয়ে নাগরিকদের ভেতর কানাঘুষাও রয়েছে। অনেকের অভিযোগ, দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘড়ি বসানো হলেও মূলত পৌরসভার পদস্থ একজন কর্মকর্তা নিজে ঘড়ি কিনে আনেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার থেকে তিনি টাকা নিয়ে এ কাজটি করেন।</p> <p style="text-align: justify;">এ প্রসঙ্গে জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, ‘সবার আগে নাগরিক সেবার কথা ভাবতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ফ্লাইওভারটিতে বাতি জ্বালানো খুবই জরুরি। কেননা এটাতে চুরি, ছিনতাইয়ের ভয় রয়েছে। কোন বিভাগ বাতি জ্বালাবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা চাই আমাদের সেবা।’ তিনি বলেন, কুমারশীল মোড়ে যে ঘড়িটি বসানো হয়েছে তার সৌন্দর্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, আর এর দামও বিস্ময়কর।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, ‘ঘড়ির বিষয়টি বিলাসিতা। এর দাম নিয়ে নাগরিক মনে প্রশ্ন রয়েছে। ঘড়ির চেয়ে ফ্লাইওভারে রাতে বাতির বিষয়টি খুবই জরুরি।</p> <p style="text-align: justify;">ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সবুজ কাজী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব বাতির রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ঘড়ি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।</p> <p style="text-align: justify;">পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউসার আহমেদ বলেন, ‘সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষণে যে উঁচু মইয়ের দরকার তা আমাদের কাছে নেই। এ কারণে এই বিষয়ে আমরা অনীহা জানিয়েছি।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে শহরের কুমারশীল মোড়ে ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে, যার মূল্য ২৪ লাখ টাকার বেশি।’</p> <p style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে পৌর মেয়র নায়ার কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা না ধরায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।</p> </article>