<p>বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ সাইফুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে শহরের পুরোনো পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। </p> <p>এর আগে ঢাকা থেকে সোমবার রাত ৩টার দিকে খালিদ সাইফুল্লাহর লাশবাহী গাড়ি গোপালগঞ্জ এসে পৌঁছায়। </p> <p>গোপালগঞ্জ জেলা উদীচীর সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘খালিদ সাইফুল্লাহ মা-বাবার সাত সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। তাঁর মা আনোয়ারা বেগম। বাবা বিএ হেমায়েত উদ্দিন। তারা কেউই বেঁচে নেই। খালিদের স্ত্রী শামীমা জামান এক ছেলেকে নিয়ে আমেরিকা বসবাস করেন। দুই বছর আগে খালিদ সাইফুল্লাহ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ঢাকাতে বসবাস করতেন।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এক সাথে পড়ালেখা করতাম। খালিদ সাইফুল্লাহ ছাত্র জীবন থেকে গান গাইতো। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে তার ছিল সম্পৃক্ততা। একদিন খালিদের গান শোনার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আমরা ছুটির আবেদন করেছিলাম, কিন্তু সেদিন প্রধান শিক্ষক ছুটি দেননি। ছুটি শেষে আমরা সবাই মিলে তাঁর গান শুনেছি। বাল্যবন্ধু খালিদ আজ চলে গেল। তার অভাব কোন ভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।’ </p> <p>গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘খালিদ ভাইয়ের সাথে আমার হবে স্মৃতি রয়েছে। খালিদ ভাইয়ের সাথে আমি ছোট বেলায় গোপালগঞ্জে এসেছি। আজও এসেছি খালিদ ভাইয়ের জন্য তবে ভাইকে চিরবিদায় জানাতে। খালিদ ভাইয়ের শূন্যতা অন্য কারো দ্বারা পূরণ হবে না। আমি শুধু তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’</p> <p>খালিদ সাইফুল্লাহ ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ  জেলা শহরের চ্যেরঙ্গীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জে ছোটবেলা কেটেছে খালিদ সাইফুল্লাহর। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ার সময় থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা ছিলো তাঁর। সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ হয়নি যাবারও বেলা', ‘নাথি খাতি বেলা গেল শুতি পারলাম না’ এর মতো অসংখ্য  জনপ্রিয় গান তিনি শ্রোতাদের উপহার দেন।</p>