<p>আদর্শ বিক্রি না করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী ৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। শুনেছি এটা নিয়ে পয়সার লীলা খেলা হচ্ছে। কেউ পাঁচ হাজার দিচ্ছে তো কেউ ১০ হাজার। আবার ২৫ হাজারও দিচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরা এমন না। তারা বিক্রি হবেন না। কেউ যদি টাকা নিয়ে আসেন তাহলে কি করবেন সেটা আমি বলে দেব না। তবে এটা বলতে পারি আপনারা আদর্শকে বিক্রি করবেন না।’</p> <p>মতবিনিময়সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন। আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজল হোসেন রিমন প্রমুখ।</p> <p>আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন, আপনারা শান্তি দেখতে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে।’ </p> <p>মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা না হলে এই দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানত না। বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক করতেন। কখনো নিয়মের বাইরে রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতা রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রের। সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা বিশ্ব যখন এই ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এই ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিল, এ ভাষণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে যাওয়ার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।’</p> <p>১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশকে শেষ করতে দিতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মুস্তাক, জিয়াউর রহমান ও তার ধূসররা। তারা বাংলাদেশের উপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযজ্ঞ  চালায়। জিয়া এই দেশে রাজাকার ও আলবদর দিয়ে সরকার গঠন করেছিলো। আজ তারা বড় বড় কথা বলে, তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা সব সময় হস্তান্তরের জন্য যুদ্ধ করেছে।’</p>