<p>‘ট্রেনে থাকা আইআর সিস্টেম রেলের প্রধান কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আইআর মেটাল জাতীয় সবকিছু শনাক্ত করবে। ট্রেনের পাত কাটা থাকলে কিংবা উল্টানো থাকলে অথবা একই লাইনে অন্য আরেকটি ট্রেন আসলে তা শনাক্ত করবে। সেখান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেলের কন্ট্রোল রুমে বার্তা যাবে। এই বার্তা অন্যান্য সাবস্টেশনে পাঠানো হবে। এতে ট্রেন দুর্ঘটনাসহ বড় ধরনের বিপদ প্রতিরোধ করা সম্ভব।’</p> <p>এভাবেই বলছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন আহমেদ, মো. দিহান, রেজুয়ান ভূইয়া ও বোরহান উদ্দিন ভূইয়া। ‘ট্রেন এক্সিডেন্ট প্রিভেনশন সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প নিয়ে তারা হাজির হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং অষ্টম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড মেলায়। নিজেদের প্রকল্প নিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা আরো জানালো, ‘আমাদের দেশে কয়েকদিন পরপর বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এ ধরনের পদ্ধতির কথা চিন্তা করা হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধের প্রকল্পের জন্য কলেজ পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ।</p> <p>জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় সদর উপজেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করে। মেলায় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞানের অভিনব ধারণা নিয়ে ৩৫টি স্টল অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রীর সহধর্মিনী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে অভিনব চিন্তার ক্যাটাগরিতে কলেজ পর্যায়ে প্রথম হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ, দ্বিতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও তৃতীয় হয়েছে পৌর ডিগ্রী কলেজ। </p>