<p>শেরপুরে মন্দির পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় স্বঘোষিত ব্রহ্মচারি শান্তানন্দ ও তার ভক্ত জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে লবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীণ জামিনের মেয়াদ শেষে শেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে তারা স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। মুখ্য বিচারিক হাকিম শুনানী শেষে জামিন না-মঞ্জুর করে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। </p> <p>জামিন শুনানীকালে আদালত চত্বরে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ, শান্তানন্দ ব্রহ্মচারির ভক্তবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  </p> <p>আদালত সূত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকার পোদ্দার কমপ্লেক্সের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাম পোদ্দার গত বছরের ২৪ নবেম্বর ৫০ লাখ চাঁদা দাবী অভিযোগে স্বঘোষিত ব্রহ্মচারী শান্তানন্দসহ ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। </p> <p>ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে শান্তানন্দ ব্রহ্মচারি ও জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে লব এতদিন হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীণ জামিনে ছিলেন। এর আগে একই মামলায় জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রিতেশ মালাকার ও তার শ্যালক অমিত আটক করে কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর বর্তমানে বিচারিক হাকিমের আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।   </p> <p>স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, শান্তানন্দ ব্রহ্মচারি ২০১৬ সালে নয়ানী বাজার পোদ্দার কমপ্লেক্সের ছাদে ক্রিয়াযোগ উপসনালয় নামে একটি মন্দির স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ওই মন্দিরের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে পোদ্দার কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী পোদ্দার পরিবারের সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এনিয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলায় জড়িয়ে পড়ে।    </p>