<p>কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামের পূর্ব-উত্তর কর্নারে প্রায় ৩৫ বছর আগে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানেও একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>এদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশে লাকসাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙ্গে সেখানে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগের প্রতিবাদে লাকসাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনঃস্থাপন পরিষদের ব্যানারে রবিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। </p> <p>লাকসাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনঃস্থাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মো.মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দক্ষিণ কুমিল্লার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ যুব সংহতি পরিষদের সভাপতি জুনায়েদ সাকীর পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক।</p> <p>এ সময় সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, সংকট উত্তরণ এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষে একদিকে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে লাকসামে সরকারদলীয় এমপি মো.তাজুল ইসলাম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লাকসামের সর্বস্তরের মানুষের চিন্তা, চেতনা ও আবেগ অনুভূতির মিলনস্থল উঁচুশির ইতিহাসের গৌরবধন্য শহীদ মিনার ভেঙ্গে জবরদখলের মাধ্যমে মার্কেট নির্মাণের নগ্ন খেলায় মেতেছেন। শহীদ মিনার ভেঙে লাকসামের সর্বস্তরের মানুষের মনে আঘাত করেছেন তিনি। তাই আমরা প্রাণের শহীন মিনার পুনঃস্থাপনের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।</p> <p>মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে শহীদ মিনার পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে বলেন, জনগণের ভাষা নীরব রাজনীতিকদের বুঝতে হবে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে কঠিন ক্ষেপণাস্ত্রই জনগণের হাতে এ কথাগুলো ভুলে গেলে চলবে না। গণতন্ত্রের নীরব মানুষগুলোও সময়ে সরব হয়, হতে পারে। তাই অবিলম্বে জনগণের প্রাণের শহীদ মিনারটি পুনঃস্থাপনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।</p>