<p>চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে আটক সন্দেহভাজন জঙ্গি নূরে আলমের বাড়ি (২২) নীলফামারী জেলায়। সে জেলা শহরের উকিলের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং নীলফামারী সরকারী কলেজের রসায়ন বিষয়ের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।</p> <p>নূরে আলমের পরিবারের দাবি, গত ১১ এপ্রিল রাতে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় একদল অপহরণকারী। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ১১ এপ্রিল সোমবার রাত দেড়টার দিকে তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটর কারে প্রায় ৪০জন লোক আসেন। তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে নূরে আলমের শহরের উকিলের মোড়ের বাড়িতে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় পরদিন দুপুরে নূরে আলমের মা বাদী হয়ে নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। </p> <p>চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে নূরে আলম আটক ও টেলিভিশনে তার ছবি দেখে তার (নূরে আলম) মা নুর নাহার বেগম নূরে আলমকে নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, আমার ছেলে নূরে আলম নীলফামারী সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ওর বাবা আব্দুল কাদের মারা গেছেন। বাসার সামনে আমাদের একটা মোবাইল  ফ্লাক্সিলোড বিকাশ ও ইলেক্ট্রনিক্স দোকান আছে। সেটা সে চালাতো। গত ১১ এপ্রিল রাত দেড় থেকে দুইটার দিকে যারা আমার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গেছেন, তাদের পড়নে জিন্সের প্যাণ্ট, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রঙের শার্ট পড়া ছিল।</p> <p>“আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের লোক, ওকে নিয়ে যাচ্ছি ২০ মিনিট পর রেখে যাবো।”</p> <p>এ ঘটনায় আমি নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।</p> <p>নূরে আলমের ছোট ভাই নয়ন ইসলাম তার মূঠোফোনে ধারণ করা টেলিভিশন সংবাদে প্রচারিত নূরে আলমের ছবি দেখিয়ে সেটি তার ভাই বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “নিখোঁজের পর থেকে তার ভাইয়ের সঙ্গে পরিবারের কারও কোনো যোগাযোগ হয়নি।”</p> <p>এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল আকতার বলেন, ‘চট্রগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে আটক নূরে আলম নীলফামারীর উকিলের মোড় থেকে নিখোঁজ হওয়া নূরে আলম বলে তার পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেছেন।’</p>