<p>এলপিজি সিলিন্ডার বাজার থেকে কিনে আনা ও ব্যবহার উপযোগী করা পর্যন্ত সব কিছুই করছে নন-টেকনিক্যাল লোকজন। যার কারণে দুর্ঘটনার বেশি হচ্ছে। সিলিন্ডার ব্যবহার বাড়লেও ব্যক্তি সচেতনতা বাড়েনি।</p> <p>বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এলপিজি ইন্ডাস্ট্রি: কমপ্লায়েন্স সেফটি এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে, সারা দেশে এখন এলপিজি’র ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু যারা এই সিলিন্ডার ইনস্টলের কাজ করেন তাদের যদি দক্ষতা না থাকে, তাদের অল্প টাকা দিয়ে যদি ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করানো হয়, তাহলে তো ভালো হবে না।</p> <p>তিনি বলেন, যেভাবে ব্যবহার বেড়েছে, সেভাবে কিন্তু সচেতনতা বাড়েনি। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। দেশে থেকে যে ছেলেরা যাচ্ছে, তারা দক্ষভাবে কাজ করছে। এজন্য আমাদের দেশের যারা টেকনিশিয়ান আছে তাদের ট্রেনিং প্রয়োজন। এটা আমাদের দেশের বাজারের জন্যও প্রয়োজন আছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত যদি ট্রেনিং থাকে তাহলে ফিটিংসহ যে কাজগুলো আছে সেগুলো করার ক্ষেত্রে ভুল হবে না। এটা কিন্তু খুব মারাত্মক জায়গা। পড়াশোনায় আমরা ঠিক আছি, কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল হতে হবে। এখন স্পেশালাইজেশনের যুগ এসে গেছে। আমাদের বিশাল যুব শক্তি আছে। আজকে চীনারা এখানে এসে কাজ করছে বিভিন্নভাবে। যে কাজগুলো আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা করতে পারেন। অন্যদিকে সিলিন্ডার ব্যবহারে হোটেল মালিক, কর্মচারীদের আপনারা ট্রেনিং দিতে পারেন। যাতে নিরাপদভাবে এগুলো ব্যবহার করতে পারে।</p> <p>জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস লিমিটেডের সেফটি এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী বলেন, দেশে ১৫-২০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি আসছে। কিন্তু এটিই ঠিকমতো আমরা ম্যানেজ করতে পারছি না। কারণ এটা পুরোপুরি একটি টেকনিক্যাল পণ্য। কিন্তু হ্যান্ডেল করছে নন-টেকনিক্যাল লোকজন। ইঞ্জিনিয়ারদের সদর দরজা দিয়ে নেয়, আর প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেয়।</p> <p>তিনি বলেন, সিলিন্ডার কখনো ফাটে না। সমস্যা হয় এর বাল্বে। যদি সঠিকভাবে এর ব্যবহার না করা হয়, যদি পরীক্ষা না করা হয়, মান ঠিক না রাখা হয়, তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কোথায় কোন এক্সেসরিজ ব্যবহার করা হয়, সেটা নন-টেকনিক্যাল লোকজন জানবে না। এজন্য ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে।</p> <p>বাজার থেকে নকল হোস পাইপ এনে ব্যবহার করার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন।</p> <p>পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুখসানা নাজমা ইসহাক বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের চেয়ে এলপিজির হিটিং আড়াই গুণ বেশি। এজন্য এলপিজির দুর্ঘটনা হলে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি করে। এজন্য সঠিক লোক দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- আইইবি’র প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সবুর এমপি, কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান এ এন এম তারিক আবদুল্লাহ প্রমুখ।</p>