<p>ঠোঁটের ত্বক খুবই নরম ও স্পর্শকাতর। কোনো তেলগ্রন্থি থাকে না। তাই ঠাণ্ডা, গরম, সূর্যরশ্মি, দূষণ সবই ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। শীতে শরীরের যত্নের মতো ঠোঁটেরও যত্ন নিতে হয়।</p> <p> </p> <p><strong>কারণ</strong></p> <p>* রোদে দীর্ঘ সময় থাকা, পানিশূন্যতা, রাত জাগা, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ঠোঁট ফাটে।</p> <p>* মাত্রাতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা।</p> <p>* দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ানো, ঠোঁটের চামড়া টেনে ওঠানো। এতে ঠোঁটের চামড়া ও নরম মাংসপেশিতে আঘাত লাগে। পরিণামে ঠোঁটে ঠিকভাবে প্রসাধনী বসতে চায় না, ঠোঁটে নানা রকম দাগ দেখা যায়।</p> <p>* শরীরে লবণ, পানি ও ভিটামিন ‘বি’-এর অভাবে ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে যায়।</p> <p>* ঠোঁট দীর্ঘ সময় শুষ্ক থাকলে অনেকেই বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজান। এমন অভ্যাস যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ঠোঁট তুলনামূলকভাবে কালচে হয় বেশি।</p> <p>* ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঠোঁট কালো হয়। শরীরে আয়রনের পরিমাণ খুব বেশি হলেও ঠোঁট কালচে হয়।  রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে যায়।</p> <p>* খুব বেশি চা-কফি পান করার কারণেও ঠোঁট কালো হয়।</p> <p> </p> <p><strong>ঘরোয়া যত্ন</strong></p> <p>* নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার এবং কমপক্ষে প্রতিদিন দুই লিটার পানি পান করতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতা না থাকলে মুখ, চোখের নিচ ও ঠোঁট উজ্জ্বল দেখাবে।  ভিটামিন, প্রচুর সবুজ শাকসবজি ও ফল  খেতে হবে।</p> <p>* ঠোঁট যাঁদের বেশি শুষ্ক হয়, তাঁরা লিপবাম (এসপিএফ ১৫ বা ২০ যুক্ত) নিয়মিত ব্যবহার করবেন।</p> <p>* ঠোঁটের ওপর মরা চামড়া জমেও দাগ হতে পারে। গোলাপের পাপড়ি বেটে এর সঙ্গে মধু বা চিনি মিশিয়ে হালকা করে মাখুন। এতে ঠোঁটে জমে থাকা মরা চামড়া উঠে যাবে। ঠোঁট দেখাবে উজ্জ্বল।</p> <p>* ধুলা, রোদের তাপ বাঁচিয়ে চলুন।</p> <p>* ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডায়রিয়া, বেশি ঘেমে যাওয়া, অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রমের পর দুর্বল লাগলে ওরস্যালাইন খেতে হবে। এতে পানিশূন্যতা দূর হবে। ত্বকের অসুখ যেমন—একজিমা, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণেও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। এর জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞর চিকিৎসা নিতে হবে।</p> <p>* লিপস্টিক ব্যবহারের পর ঠিকমতো তুলতে হবে।</p> <p>* ঠোঁটের দুই কোনা কালো হয়ে গেলে চালের গুঁড়া পানিতে একটু ভিজিয়ে সেই অংশে মাখুন। এটি স্ক্র্যাবের কাজ করবে।</p> <p>* ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার আগে ইমোলিয়েন্ট, পেট্রোলিয়াম জেলি, কোল্ডক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।</p> <p>* প্রতিদিন ১০ মিনিট মধু বা দুধের সর লাগিয়ে রাখলেও কালচে ভাব ও ঠোঁট ফাটা কমবে।</p> <p>* ভিটামিন ‘বি’-এর অভাবে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে এবং ঠোঁটের কোণে ঘা হতে পারে। এর জন্যও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।</p> <p> </p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>লিপবাম ও চ্যাপস্টিক : ফাটা ঠোঁটের জন্য লিপবাম ও চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। এটি ঠোঁট কোমল, মসৃণ ও আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। তবে অতি সুগন্ধি ও রসযুক্ত চ্যাপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো।</p> <p>সাবান : ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল বলেই মুখের ত্বকে সাবান ব্যবহারের সময় ঠোঁটে যাতে সাবান না লাগে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ফেসওয়াশও ঠোঁটে লাগানো যাবে না।</p> <p>লিপস্টিক : যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েল বেসড লিপস্টিক শীতে ঠোঁটের জন্য ভালো।</p> <p>টুথপেস্ট : দাঁত মাজার জন্য সাদা রঙের টুথপেস্ট ভালো। এতে ঠোঁটের ক্ষতি হয় না।</p> <p>সূর্যমুখী তেল : সূর্যমুখী তেল ঠোঁটের জন্য খুব ভালো। এটি দিনে কয়েক বার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না।</p>