<article> <p>১১১.০৫ এলেবেলে কিছু নয়। ৩৩ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইক রেট এটা। পরিসংখ্যান বলছে, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়া দলগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট তাঁর। মন খারাপ করা এই তালিকায় নাজমুলের চেয়েও দুরবস্থা শুধু একজনের, উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবার (১০৮)।</p> </article> <p>মাসাবা অবশ্য বোলিং অলরাউন্ডার। আর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম, তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৫০.৬৭।</p> <article> <p><img alt="রান তাড়া করে ফিরছে নাজমুলকে" height="163" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/07-05-2024/121/6666.jpg" width="500" />সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে নাজমুলের স্ট্রাইক রেট আরো কমে হয়েছে ১০৬.৩২। এই ১২ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে একটিমাত্র ফিফটি।</p> <p>শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১ রান করেন ২৪ বল খেলে। দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন ১৬ রান করে। সব মিলিয়ে এই সময়ে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৮৫ রান। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার লিটন দাসের টানা ব্যর্থতায় কিছুটা আড়ালেই চলে গিয়েছিল রানের জন্য নাজমুলের সংগ্রাম।</p> </article> <article> <p>টি-টোয়েন্টিতে রানের জন্য বাংলাদেশ অধিনায়কের এই হাপিত্যেশ অবশ্য শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়। এর শুরুটা হয়েছিল গত বিপিএল থেকে। রাউন্ড রবিন লিগে ১২ ম্যাচের সব কটিতে খেলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাত্র ১৭৫ রান করেছিলেন নাজমুল। সর্বোচ্চ ৩৯ রান।</p> <p>স্ট্রাইক রেট ৯৩.৫৮। অথচ এর আগের বিপিএলেই দুঃসময় কাটিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। দল রানার্স আপ হলেও জিতেছিলেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের দিক থেকে বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটার ছিলেন তিনি।</p> </article> <article> <p>বিশ্বকাপ শেষ করে এসে কুড়ি ওভারে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ ছিল ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানেও সিরিজসেরার পুরস্কার ওঠে নাজমুলের হাতে। সুসমযেও তাঁর স্ট্রাইক রেট যে আকাশচুম্বী ছিল, তা নয়। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে অবশ্য আপাতত রানখরা নিয়েই ভাবতে হচ্ছে।</p> <p>বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এ নিয়ে হল্লাগোল্লা করে দলের পরিবেশ ভারী করতে চান না তাঁরা। এই মুহূর্তে সব চিন্তা দলকে শান্ত রাখা নিয়ে। টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলছিলেন, ‘এখন যদি অধিনায়ককে নিয়েই চিন্তায় পড়ে যেতে হয়, দল চলবে কী করে? এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কোচদের সঙ্গে ওর কথা হয়েছে।’ বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস জানালেন, নাজমুলের পড়তি স্ট্রাইক রেট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে পোথাসের মতে, ‘আমার মনে হয় ওর (নাজমুল) ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এটাও বলি, ওর স্ট্রাইক রেট নিয়ে আলাপ অবান্তর, সে ছুটতে (রান পেলে) থাকলে স্ট্রাইক রেটও ছুটবে। কাজেই বিষয়টা হচ্ছে, সে কখন জেগে ওঠে। সে যদি জেগে ওঠে, স্ট্রাইক রেটও তরতরিয়ে ওপরে উঠতে থাকবে।’</p> <p>স্ট্রাইক রেট নিয়ে চিন্তা তো নয়ই, পোথাস বরং বললেন, ‘সে দুর্দান্ত খেলছে। যেটা সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার, সে যেভাবে গ্রুপটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা আগের চেয়ে কিছু জিনিস পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। সে অবশ্যই এটার সামনের কাতারের একজন। সে তরুণ অধিনায়ক, অনেক সাহসী। খুব দৃঢ়ভাবে দল পরিচালনা করছে। এটার সুফল ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে।’</p> <p>সেই সুফলের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।</p> </article>