ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ট্রফিতে চুমু আঁকা ছয় দলের একটি শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালে ফাইনালে হারলেও পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে শিরোপা নিয়েই ঘরে ফেরে তারা। উপমহাদেশের আরেক ক্রিকেট পরাশক্তি ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল লাসিথ মালিঙ্গার দল। মিরপুরের ওই ফাইনাল খেলেছিলেন সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, মালিঙ্গা, হেরাথের মতো একঝাঁক বিশ্বকাঁপানো তারকা।
বিজ্ঞাপন
শক্তির মানদণ্ডে বিশ্বজয়ী ওই দলের সঙ্গে দাসুন শনাকার বর্তমান শ্রীলঙ্কার আকাশ-পাতাল ফারাক! তবু শুরুর আগে একদমই বাতিলের খাতায় রাখা যাবে না সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। কোচ মিকি আর্থার কিন্তু বেশ আশাবাদী, ‘যদি আমাদের ব্যাটিং ভালো হয় তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ আছে। কারণ আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব ভালো, অনেক উন্নতি হয়েছে ফিল্ডিংয়েও। ’
সহজেই হয়তো জায়গা করে নেবে তারা সুপার টুয়েলভে। কিন্তু এরপর আর কত দূর! শনাকাদের পরামর্শক হিসেবে কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে থাকায় বড় কিছুর স্বপ্নই হয়তো দেখছে লঙ্কান সিংহরা।
সেরা তারকা
কুশল পেরেরা
সাবেক অধিনায়ক। একজন মারকুটে ব্যাটার। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই শ্রীলঙ্কার অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। ২০১৪ সালে লঙ্কানদের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন কুশল পেরেরা। ১৪৫.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ওই আসরে করেছিলেন ১২৫ রান। দ্রুত রান তুলতে পারেন আবার দরকারে এক-দুই করে গড়তে পারেন ইনিংসের ইমারতও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩২.২১। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও তিনি একজন দক্ষ সেনানী। কুশল পেরেরার ক্ষিপ্রতা আর চতুরতার ওপরও বিশ্বকাপে অনেকাংশে নির্ভর করবে শ্রীলঙ্কা।
কোচ
মিকি আর্থার
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচদের মিলনমেলায় অন্যতম নাম মিকি আর্থার। বেশ সমৃদ্ধ কোচিং ক্যারিয়ার। শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে কোচিং করিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান জাতীয় দলকেও।
স্কোয়াড
দাসুন শনাকা (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্ডিমাল, পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আশালঙ্কা, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, ভানুকা রাজাপাকসে, চামিকা করুনারত্নে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুসমান্থা চামিরা, লাহিরু কুমারা, মহেশ থিকসানা, আকিলা ধনঞ্জয়া ও বিনুরা ফার্নান্ডো।
পারফরম্যান্স
২০০৭ : সুপার এইট
২০০৯ : রানার আপ
২০১০ : সেমিফাইনাল
২০১২ : রানার আপ
২০১৪ : চ্যাম্পিয়ন
২০১৬ : সুপার টেন
পরিসংখ্যান
♦ ৩৫ ম্যাচে জয় ২২ হার ১২ টাই ১টি। সাফল্যের হার ৬৪.২৮ শতাংশ।
♦ সর্বোচ্চ ১০১৬ রান মাহেলা জয়াবর্ধনের। সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট লাসিথ মালিঙ্গার।