বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছিল দুয়ারে। তখনই পদত্যাগ মিসবাহ উল হক আর ওয়াকার ইউনিসের। সময় এত কম ছিল যে নতুন কোচ পর্যন্ত নিয়োগ দিতে পারেনি পাকিস্তান। ভারপ্রাপ্ত কোচ হয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন সাবেক তারকা সাকলাইন মুশতাক।
বিজ্ঞাপন
দলটা পাকিস্তান বলেই আগে থেকে কিছু বলার উপায় নেই। সবাই যখন ভাবে এদের দিয়ে কিছু হবে না, তখনই জবাব দিয়ে বসে শিরোপা জিতে! আবার আশার বেলুন ফুলিয়ে কোনো টুর্নামেন্টে গেলে চুপসে যেতেও সময় লাগে না বেশি। ছয় বিশ্বকাপে একবার চ্যাম্পিয়ন, আরেকবার রানার্স আপ আর দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। অন্যতম ফেভারিট বাবর আজমের দল।
সেরা তারকা
বাবর আজম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে তাঁর আবির্ভাব। ওয়ানডের মতো টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের ভরসার নাম বাবর আজম। তিন ফরম্যাটে দলের নেতৃত্ব দেওয়াটা চাপ হয়নি মোটেও। দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০০ আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পা রাখেন ১০০০ রানের মাইলফলকে। নতুন ইতিহাস গড়ে আবার এসেছেন বিশ্বকাপে। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সাত হাজার রানের কীর্তি এখন বাবর আজমেরই। ১৮৭ ইনিংসে পৌঁছেছেন সাত হাজার রানের মাইলফলকে। ১৯২ ইনিংসে আগের রেকর্ডটা ছিল ক্রিস গেইলের।
কোচ
সাকলাইন মুশতাক
মিসবাহ উল হক ও ওয়াকার ইউনিস একযোগে পদত্যাগ করায় সাকলাইন মোশতাক ভারপ্রাপ্ত কোচ হয়ে এসেছেন আরব আমিরাতে। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে সাবেক এই তারকার।
স্কোয়াড
বাবর আজম (অধিনায়ক), আসিফ আলী, ফকর জামান, হায়দার আলী, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম (জুনিয়র), শাদাব খান, হারিস রউফ, হাসান আলী, শাহেন শাহ আফ্রিদি।
পারফরম্যান্স
২০০৭ : রানার্স আপ
২০০৯ : চ্যাম্পিয়ন
২০১০ : সেমিফাইনাল
২০১২ : সেমিফাইনাল
২০১৪ : সুপার টেন
২০১৬ : সুপার টেন
পরিসংখ্যান
♦ ৩৪ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ১৯, হার ১৪ আর ফল হয়নি এক ম্যাচ।
♦ সবচেয়ে বেশি ৩৯ উইকেট শহীদ আফ্রিদির। শোয়েব মালিকের সমান সর্বোচ্চ ৫৪৬ রান আফ্রিদিরও।