অলঙ্করণ : নাহিদা নিশা
সে লাঠিটা এক পাক ঘুরিয়ে একটা হাঁসের বাচ্চা হাজির করল। দিন দুই বয়স হবে। গায়ে কোমল লোম, মাকে ছাড়া আর কাউকে চেনে না। প্যাঁকপ্যাঁক, ফ্যাকফ্যাক করে ডাকছে।
বিজ্ঞাপন
জাদুকর ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ তুলে বসল। পান চিবাচ্ছে। বলল, দেখেছ তো! কাক দাবড়ানি খেতে খেতে শেষ হয়ে যাবে—দাও পাঁচটা টাকা, বলেই হাত পাতল।
পাঁচ টাকা কেন, পাঁচ শ টাকা দেব, কিন্তু এর ক্যারিকেচার কী জাদুকর সাহেব?
ক্যারিকেচার!...হে হে হে...ওই দেখ বাগানে!
তাকালাম বাগানে। ...আরিব্বাস! বাজপাখি কাকের ঘাড়ে উঠে বসে আছে! জামরুলের ডালে! কিন্তু ওটা কি কাক! না না না, একটা হুতোমপেঁচা! ধুর—একটা হাতির বাচ্চা! ধুর...
হে হে হে, জাদুকর হাসল, আবার হাত পাতল, দাও পাঁচ টাকা!
পকেট হাতড়ে তিন টাকা পেলাম, তাই দিলাম। বললাম, আর দুই টাকা পরে দিচ্ছি, কিন্তু ক্যারিকেচার বলুন?
হে হে হে! ক্যারিকেচার নয়, বলো কেনাবেচা!
কেনাবেচা?
হুহহু...! ওই দেখ! ডাহুক ওদিকে নয়, ওদিকে নয়! ওই নারকেলগাছের মাথায়!
ওরে উঁচুরে বাবা! কী করে তাকাব!
তাকাও, তাকাও!...তাকালাম।
হঠাৎ দুড়ুম! দুড়ুম!...কী হলো! গুলির আওয়াজ কেন?...আরে জাদুকর কই?
হুহহু...! এই তো আমি!
কোথায় আপনি! ও তো একটা মোষ! গুঁতোনো মোষ!
এই মোষই আমি! এসো! কালো চামড়ায় হাত বুলাও! টাকা লাগবে না!
তাই!
—আরে কান টানে কে? বাবা তুমি!....
—কোথায় যাস?
—জাদুকরের কাছে!
—জাদুকরের কাছে, উজবুক! মোষটা সকালে ছয়জনকে গুঁতিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, চল!
—না যাব না, ওটা মোষ না, ও জাদুকর!
—চুপ!... চল বাড়ি!
—অ্যাঁ...! আস্তে টানো বাবা।