<p>ফুটবল খেলা নিশ্চয়ই দেখেছ। সেখানে কোনো খেলোয়াড় ফাউল করে পরপর দুইবার হলুদ কার্ড খেলে পরে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়। খেলোয়াড়টি মাঠ থেকে উঠে যায়। মানে সেই খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা হয়। আবার সড়কের পাশে সিগন্যাল হিসেবে লাল রঙের বাতি ব্যবহার করা হয় গাড়ি থামাতে। হয়তো খেয়াল করেছ, লাল রংকে সতর্কতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কেন? এর মূল কারণ হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য। তরঙ্গ সঞ্চালনকারী কোনো কণার একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন হতে যে সময় লাগে, সেই সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে। প্রতিটি রঙের নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে তার তরঙ্গ বেশি দূর পর্যন্ত অতিক্রম করে। ফলে বেশি দূর পর্যন্ত বস্তুকে দেখতে পারি। আমরা রংধনুর সাতটি রং সম্পর্কে জানি। সব রংকে একসঙ্গে  ‘বেনীআসহকলা’ বলা হয়। এগুলো হলো দৃশ্যমান অঞ্চলের আলোর রং। আর এই সাতটি রঙের মধ্যে লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। এর ফলে কুয়াশাচ্ছন্ন, বৃষ্টি কিংবা ধোঁয়ায় লাল আলো অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে, যাতে সবাই বৈরী আবহাওয়ায়ও নির্দিষ্ট সংকেতটি দূর থেকে দেখে। তাই লাল রং ব্যবহার করা হয়।</p> <p style="text-align: right;"><strong>মাহবুব আলম রিয়াজ</strong></p>