বন্যায় স্কুলঘরের অবস্থা বেহাল। অথচ এই ঘর মেরামত করতে লাগবে অনেকটা সময়। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় যাবে পিছিয়ে। ঠিক তখনই নিজের ল্যাপটপটি চালু করে সুন্দর একটি স্কুলের মডেল ঠিক করলেন আর থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে সেটি প্রিন্ট করে নিলেন।
বিজ্ঞাপন
থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের জন্য প্রথমে সফটওয়্যারের সাহায্যে স্কুল বিল্ডিংয়ের চূড়ান্ত নকশাকে ত্রিমাত্রিক ইমেজের আকার দেওয়া হয়। এরপর ইমেজটিকে কম্পিউটারে প্রসেস করানো হয়। আকার পরিবর্তন, কোনো অংশ বাদ দেওয়া, নতুন কিছুর সংযোজন বা রং পরিবর্তন ইত্যাদির কাজটি এই অংশে করে ফেলতে হয়। প্রসেসিং শেষে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক দিলেই মেশিন বক্সে রাখা কাঁচামালের সাহায্যে বস্তুটির একটি বাস্তব রেপ্লিকা তৈরি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রিন্টারে থাকা ফিলামেন্টে মোটরের মাধ্যমে সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ একটি সরু মুখ (নজল) দিয়ে বের হয় এবং নজলের মাধ্যমে ক্রমাগত স্তর তৈরি করে এবং একটি পর্যায়ে এসে কাঙ্ক্ষিত বস্তুর অনুরূপ আকার গঠন করে।
কাঁচামাল হিসেবে কাগজ বা পলিমারও ব্যবহার করা যায়। অবশ্য বোগেনভিলিয়া প্রজেক্টের জন্য বানানো স্কুলের দরজা, জানালা ও ছাদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় নির্মাণসামগ্রী। স্কুলের থ্রিডি ডিজাইনের ক্ষেত্রে থিংকিং হাটস মৌমাছির ওপর অনেকটা ঋণী। মৌমাছির মৌচাকের পাশাপাশি কিউব আকৃতির ঘর দেখেই তারা এ ধরনের স্কুলের ধারণা পায়।