ইলেকট্রিক মেইলের যুগে চিঠির আগের সেই কদর আর নেই। তবু পৃথিবীর অনেক দেশে পোস্ট অফিস এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। রাষ্ট্রীয় নানা রকম নথি পাঠানো কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এখনো ব্যবহৃত হয় রাষ্ট্রীয় এসব পোস্ট অফিস। এবার ব্রিটিশ মাল্টিন্যাশনাল পোস্টাল সার্ভিস ও কুরিয়ার কম্পানি ‘রয়াল মেইল’ যুক্তরাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিঠিপত্র পাঠাতে যাচ্ছে ড্রোনের সাহায্যে।
বিজ্ঞাপন
রয়্যাল মেইল কর্তৃপক্ষ আগামী তিন বছরের মধ্যে ২০০টি ড্রোন ৫০টি নতুন রুটে যাতায়াত করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। তবে প্রাথমিক অবস্থায় সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ, শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ এবং হেব্রাউডস দ্বীপপুঞ্জ ড্রোন সুবিধার আওতায় আসবে। ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে রয়াল মেইল চালাচ্ছে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা। গত এপ্রিলে শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে এখন পর্যন্ত শেষ পরীক্ষাটি চলে। ড্রোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান উয়াইন্ডরেসার মতে, পাইলট পরিচালিত এয়ারক্রাফটের তুলনায় পাইলটবিহীন এসব ড্রোনে ৩০ শতাংশ কম বায়ুদূষণ হবে।
বিশ্বের প্রাচীন ডাক বিভাগ
১৫১৬ সালে ব্রিটিশ রাজা অষ্টম হেনরির সময়কালে চালু হওয়া ইংল্যান্ডের রয়াল মেইলকে বলা হয় বিশ্বের প্রাচীন ডাক বিভাগগুলোর একটি। ডাক বিভাগের সেবা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য হেনরি ‘মাস্টার অব দ্য পোস্ট’ নামে নতুন একটি পদও তৈরি করেন। ১৭১০ সালে পদটির নাম হয় ‘পোস্ট মাস্টার জেনারেল’। রয়াল মেইলের প্রথম ডাকবাক্স চালু হয় ১৮৫২ সালে। শত বছরের পুরনো এই ডাক বিভাগের শেয়ারে ২০১৩ সালে ব্যাপক ধস নামে। তবে ২০১৫ সালে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় তারা। চিঠির পাশাপাশি কুরিয়ার সার্ভিসও তাদের সেবায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এবার ড্রোন নিয়ে এসে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে রয়াল মেইল।