গত বছরের ডিসেম্বরে তুষারপাতে আচ্ছন্ন ছিল পুরো সুইডেন। বাড়ির সামনের তুষার স্তূপ পরিষ্কার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুইডেনের ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। ঠিক সেই সময়ে বৃদ্ধের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তার মুস্তোফা আলি। বৃদ্ধকে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাঁর চিকিৎসার জন্য গাড়ি থেকে নেমে আসেন মুস্তোফা।
বিজ্ঞাপন
সুইডেনের জরুরি নম্বর ১১২-এ কল দেন মুস্তোফা আলি। এর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা মেলে এক ড্রোনের। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে ডিফিব্রিলেটর। ড্রোনটা ‘এভারড্রোন’-এর। প্রতিষ্ঠানটি সুইডেনে ড্রোনের মাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। সেন্টার ফর রিসার্চ সিটেশন সায়েন্স অ্যাট ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট, এসওএস অ্যালার্ম এবং রিজিওন ভাস্ট্রা গোটাল্যান্ডের মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোনগুলো। সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতেই এভারড্রোন বা ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল এরিয়াল ডেলিভারি (ইএমএডিই) সার্ভিস চালু। যেকোনো চিকিৎসার প্রয়োজনে সংকেত পাওয়ার ৬০ সেকেন্ডের ভেতরেই ড্রোন রওনা দিতে পারে। কোনো প্রকার ট্রাফিক সিগন্যালে পড়া লাগে না বলে অল্প সময়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারে।
সুইডেনের একটি পাইলট প্রকল্পে গত চার মাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। তার মধ্যে ১২ বারই ড্রোনের মাধ্যমে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়। সে জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগেই ড্রোন তাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়।